শুক্রবার, আগস্ট 1.

ডায়াবেটিক হাসপাতালটিই ‘রোগে আক্রান্ত

 
20221105_120638-f521cbb7dc83e5ac3d7ff2b97f1c1ff3

ময়মনসিংহে প্রায় দেড় যুগ আগে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করে ডায়াবেটিক সমিতি। নিজস্ব জমি না থাকায় নগরীর হরিকিশোর রায় রোডে পুরনো বাড়িসহ সরকারি অর্পিত সম্পত্তির ছয় শতক জায়গা লিজ নিয়ে চলছে ডায়াবেটিক হাসপাতালের কার্যক্রম। তবে লিজের জমি ও স্থাপনা হওয়ায় আধুনিক মানের কোনও হাসপাতাল সেখানে গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় জরাজীর্ণ পুরনো ভবনের হাসপাতালটিই এখন ‘রোগে আক্রান্ত’ বলে মনে করেন সেবাগ্রহীতারা। অবস্থার পরিবর্তনে সরকারের জরুরি পদক্ষেপ দাবি করেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৫ সালে ময়মনসিংহের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উদ্যোগ নিয়ে ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সমিতির সুবিধাভোগী সদস্যের সংখ্যা ২৫ হাজারের ওপরে। এই সদস্যরা নিয়মিত সমিতিতে এসে চিকিৎসা সেবা নেন। তবে পুরনো ভবনে আধুনিক কোনও চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলছেন সংশ্লিষ্টরা


সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, সরকার থেকে লিজ নেওয়া ভূমি হওয়ায় আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন বহুতল ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বহুতল ভবনের নির্মাণে জেলা প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন দিয়েও কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই পুরনো জরাজীর্ণ ভবনেই চলছে চিকিৎসা।

বারডেমের নিবন্ধিত ময়মনসিংহ ডায়াবেটিক সমিতি বর্তমানে রোগীদের আউটডোর সেবা দিচ্ছে। স্বল্প মূল্যে রোগীদের জন্য সব ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সমিতিতে ছয় জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, একজন পুষ্টিবিদ ও আরও ২০ জন কর্মচারী কাজ করছেন।

তিনি আরও জানান, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। রোগীদের আধুনিকমানের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুবিধাজনক ভূমি পেলে আধুনিক মানের ভবন নির্মাণ করে ইনডোর এবং আউটডোর সেবা চালু করা হবে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, জাতীয় সব ধরনের দিবসে ডায়াবেটিক সমিতি অংশগ্রহণ করে থাকে এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার নার্গিস আরা বিথী বলেন, জরাজীর্ণ ভবনে আমাদের সেবা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আউটডোরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নেন। এখানকার চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং অন্যান্য কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি আরও জানান, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। রোগীদের আধুনিকমানের চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুবিধাজনক ভূমি পেলে আধুনিক মানের ভবন নির্মাণ করে ইনডোর এবং আউটডোর সেবা চালু করা হবে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, জাতীয় সব ধরনের দিবসে ডায়াবেটিক সমিতি অংশগ্রহণ করে থাকে এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার নার্গিস আরা বিথী বলেন, জরাজীর্ণ ভবনে আমাদের সেবা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ আউটডোরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ রোগী এখান থেকে চিকিৎসা নেন। এখানকার চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং অন্যান্য কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন।


তবে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা হাসপাতালে নেই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ঢাকার বারডেমে পাঠানো হয়। তবে আধুনিক মানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা গেলে ময়মনসিংহেই রোগীদের সব চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।

নগরীর সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা শামসুদ্দিন (৬৫) বলেন, খুব অল্প খরচে সমিতিতে চিকিৎসা পাচ্ছি। রোগীদের প্রতি মাসে একবার করে হলেও রুটিন চেকআপ করতে হয়। ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মকর্তারা আন্তরিকভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন বলে জানান তিনি।

সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান বলেন, ময়মনসিংহ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠানলগ্ন থেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে এর সুবিধাভোগী সদস্য সংখ্যা ২৫ হাজারের ওপরে। সমিতির নামে সরকারি লিজ নেওয়া ভূমিতে জটিলতার কারণে বহুতল ভবন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। আধুনিক মানের বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য নিজস্ব অর্থ থাকার পরও সমিতির কর্মকর্তারা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

  প্রকাশিত সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২