• সর্বশেষ আপডেট

    ঈদের বেতন–বোনাস নিয়ে শঙ্কায় ৪১৬ কারখানা

     


    আসন্ন ঈদে শ্রমিকের বেতন-বোনাস পরিশোধে সমস্যায় পড়তে পারে ৪১৬টি শিল্প কারখানা। এর অর্ধেকের বেশি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ'র সদস্য তৈরি পোশাক কারখানা। আর্থিক সংকট, ক্রয়াদেশ না থাকাসহ নানা কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে কারখানাগুলো। শিল্প পুলিশের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সোমবার রাজধানীর উত্তরায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।


    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া, গ্যাস সংকটসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণে চাপে আছে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প। যার প্রভাব পড়ছে শ্রমিকের বেতন ভাতা পরিশোধে। মার্চ মাস শেষ হতে চললেও এখনো ফেব্রুয়ারির বেতন দিতে পারেনি অনেক কারখানা। এর ওপর যুক্ত হচ্ছে ঈদ বোনাস। সংকট আছে অন্য খাতের কারখানায়ও। 


    শিল্প পুলিশের হিসাবে, ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা ৪১৬টি। এরমধ্যে বিজিএমইএর সদস্য ১৭১টি, বিকেএমইএর ৭১টি, বিটিএমএর ২৯, বেপজার ১৩ এবং এসবের বাইরে ১৩২টি। ৩ হাজার ৬০০ কারখানার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে শিল্প পুলিশ। 


    বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সংকট খুব বেশি। নানা সংকটে আমাদের শিল্প এখন আবদ্ধ। ব্যাংকের সঙ্গে নানা রকম সংকট, ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অর্ডার কম, রপ্তানি হয়েছে কিন্তু পেমেন্ট এখনো করেনি। এরকম নানা সংকট রয়েছে। তারপরে এদিকে আমাদের সবকিছুর দাম বেড়েছে। গ্যাসের দাম বেড়েছে তারপরেও আমরা গ্যাস ঠিক মত পাই না।’  


    বিজিএমইএর পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘২০২৪ আমাদের জন্য অনেক কঠিন একটি বছর। এটি অনেকেই হয়ত দেখতে পাচ্ছেন না। অনেক ভালো ফ্যাক্টরির মালিকও কিন্তু সাফার করছেন। এটা হয়ত ফ্রন্টলাইনে বলছে না। চেষ্টা করছে তার মতো করে সমাধান করতে। কোনো ভাবেই একটি সুস্থ্য ফ্যাক্টরি মালিক কিন্তু বেতন বা বোনাস বাকি রাখে না।’  


    প্রতিবছর দেখা যায়, মাঝারি ও ছোট কারখানাগুলোতে বেতন ভাতা নিয়ে সমস্যা হয়। এবার অনেক বড় কারখানাও ঝুঁকিতে পড়েছে। বৈঠকে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার সমস্যা সমাধানে মালিক সংগঠনগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায় পুলিশ। পাশাপাশি কারখানায় নিজেদের তদারকি বাড়ানোর কথা জানান কর্মকর্তারা।


    শিল্প পুলিশ প্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বোনাস প্রত্যেকটি শ্রমিকই যেন মাসের শুরুতে পায়, এটা প্রত্যাশা করব মালিক যারা আছেন তাদের কাছে। আর ঈদের ছুটির আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ের যে সিদ্ধান্ত, প্রত্যেক শ্রমিক যেন বেতন নিয়ে যেতে পারে, এই ব্যবস্থা মালিক সংগঠনের যারা আছেন তারা করবেন।’ 


    শ্রমিকদের যাতে কেউ উস্কানি না দেয়, সে ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ানোর কথাও জানায় শিল্প পুলিশ।

    প্রকাশিত শুক্রবার ২৩ মার্চ ২০২৪