• সর্বশেষ আপডেট

    নতুন ইসির চমক: ইভিএম লুট করার সুযোগ নেই।

     

    কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চমক নিয়ে এসেছে নতুন নির্বাচন কমিশন। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনও নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা।

     এই ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্র অধিক নিরাপদ থাকবে এবং নির্বাচনে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছে ইসি।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অধিক নিরাপত্তার জন্য সবগুলো কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। গত ৭ জুন সিটি নির্বাচনের ১০৫টি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়। ১২ জুন কাজ সম্পন্ন হয়।কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ। 

    যা এর আগে হয়নি। এখন আর ভোট বাক্স (ইভিএম) লুট করার সুযোগ নেই। কেউ অপরাধ করলে সিসি ক্যামেরার সাহায্যে শনাক্ত করতে সহজ হবে।’এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মতো আমরা ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি বুথে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছি। তবে গোপন কক্ষ ভোটার ছাড়া আর কারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে আমি সিসি ক্যামেরাগুলো পর্যবেক্ষণ করবো। তাছাড়া নির্বাচন কমিশনও সিসি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে থাকবে।বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে।

     এই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয় গত ২৮ মে। শেষ হয় সোমবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে। প্রচারে এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ, ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিটিতে ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটি প্রথম নির্বাচন।

    এই নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) ও কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ প্রতীক)।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৪ জুন ২০২২