২ সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাহিদা
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাহিদা বেগম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জেলা পুুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রবিবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর পুনবার্সন গ্রামের নিজ বাড়ি ঘর থেকে সাজিম (৬) ও সানির (৪ মাস) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের মা সাহিদা বেগম আহত অবস্থায় পাশেই পড়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর স্ত্রী। সাহিদা বেগম টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাজিম ও সানির নানি সূর্য বেগম জানান, ইউসুফ শ্বশুরবাড়ি থাকেন। সেখানে থেকে মাছ শিকার করে সংসার চালান। রবিবার ভোরে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। অনেক বেলা হলেও সাহিদা ও তার সন্তানদের সাড়া না পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে ইউসুফকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তিনি বাড়ি ফিরে টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে দেখেন, দুই সন্তান মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছে। তাদের পাশেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন সাহিদা।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানান, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত সাহিদাকে দুপুরে হাসপাতালে আনা হয়। মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সাহিদা বেগম দুই সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে চলন্ত ফ্যানের সঙ্গে কাটা পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য দুই শিশুর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
তিনি আরও বলেন, সাহিদা বেগম হাসপাতালে পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার ভাই ও ভাবি মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিতো। তাদের মধ্যে এক সপ্তাহ আগেও ঝগড়া হয়েছিল। এর ফলে সাহিদা আশঙ্কা করছিলেন, তার ভাই ও ভাবি তাদের সন্তানকে মেরে ফেলবেন। এই আশঙ্কা থেকেই দুই সন্তানকে হত্যার নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাহিদা
প্রকাশিত: শনিবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাহিদা বেগম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জেলা পুুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে রবিবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর পুনবার্সন গ্রামের নিজ বাড়ি ঘর থেকে সাজিম (৬) ও সানির (৪ মাস) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের মা সাহিদা বেগম আহত অবস্থায় পাশেই পড়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর স্ত্রী। সাহিদা বেগম টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাজিম ও সানির নানি সূর্য বেগম জানান, ইউসুফ শ্বশুরবাড়ি থাকেন। সেখানে থেকে মাছ শিকার করে সংসার চালান। রবিবার ভোরে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। অনেক বেলা হলেও সাহিদা ও তার সন্তানদের সাড়া না পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে ইউসুফকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তিনি বাড়ি ফিরে টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে দেখেন, দুই সন্তান মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছে। তাদের পাশেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন সাহিদা।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানান, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত সাহিদাকে দুপুরে হাসপাতালে আনা হয়। মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সাহিদা বেগম দুই সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে চলন্ত ফ্যানের সঙ্গে কাটা পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য দুই শিশুর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
এর আগে রবিবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর পুনবার্সন গ্রামের নিজ বাড়ি ঘর থেকে সাজিম (৬) ও সানির (৪ মাস) লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের মা সাহিদা বেগম আহত অবস্থায় পাশেই পড়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর স্ত্রী। সাহিদা বেগম টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাজিম ও সানির নানি সূর্য বেগম জানান, ইউসুফ শ্বশুরবাড়ি থাকেন। সেখানে থেকে মাছ শিকার করে সংসার চালান। রবিবার ভোরে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। অনেক বেলা হলেও সাহিদা ও তার সন্তানদের সাড়া না পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে ইউসুফকে ফোন করে বিষয়টি জানান। তিনি বাড়ি ফিরে টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে দেখেন, দুই সন্তান মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছে। তাদের পাশেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন সাহিদা।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানান, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত সাহিদাকে দুপুরে হাসপাতালে আনা হয়। মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সাহিদা বেগম দুই সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে চলন্ত ফ্যানের সঙ্গে কাটা পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য দুই শিশুর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
তিনি আরও বলেন, সাহিদা বেগম হাসপাতালে পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার ভাই ও ভাবি মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিতো। তাদের মধ্যে এক সপ্তাহ আগেও ঝগড়া হয়েছিল। এর ফলে সাহিদা আশঙ্কা করছিলেন, তার ভাই ও ভাবি তাদের সন্তানকে মেরে ফেলবেন। এই আশঙ্কা থেকেই দুই সন্তানকে হত্যার নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাহিদা