• সর্বশেষ আপডেট

    ভারত পাশে না থাকলে আরও রক্ত দিতে হতো: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

      

    ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলা ব্যক্তিদের সমালোচনা করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশে একটা শ্রেণি আছে, যারা সবসময় ভারতের পিছে লেগে থাকে। কারণটা কী? আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহায়তা করেছিল, পাশে দাঁড়িয়েছিল। না হলে ৯ মাসে দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। দীর্ঘ সময় লাগতো, আরও রক্ত দিতে হতো।’

    বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘একটা শ্রেণি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে না, লালন করে না। আমাদের রাষ্ট্রের যে মূলনীতি গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র- এরা এগুলো ধারণ করে না।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জীবনেও দেখিনি নিজের দলের খেলা হলে অন্য কাউকে সমর্থন করে। যদি অন্য দুই দলের খেলা হয়, তাহলে অপশন থাকে তাকে সমর্থন করার। কিন্তু নিজ দেশের সমর্থন না করে অন্য দেশের সমর্থন করে তাদের উল্লাস দেখে মনে হয়, একটা শ্রেণি মনেপ্রাণে বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারছে না।’

    আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একজন আদালতের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তি, তাও এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে। তাকে যদি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা না দেওয়া হয় তখন নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। তখন (যুদ্ধের সময়) তাদের এই মানবতা ছিল কোথায়।’

    স্বাধীনতাবিরোধীদের উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা মানবতার কথা বলে। কথায় কথায় বলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ৩০ লাখ মানুষ মারলো, তাদের তো দাফন কাফনও করায়নি; সে সময় মানবতা লঙ্ঘিত হয়নি? মানবতার লঙ্ঘন হয় এখন?’

    আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, শুকুর আলী সুমন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন মালা, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২১