• সর্বশেষ আপডেট

    আপত্তিকর ভিডিও' কাউন্সিলর বললেন ওটা নাটকের মহড়া

      

    কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের একটি আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এক নারীর সঙ্গে তাঁর ওই ভিডিওকে এখন তিনি নাটকের মহড়া বলে দাবি করছেন। তবে ওই নারীর দাবি, কাউন্সিলর তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছেন। 

    গত শুক্রবার ভুক্তভোগী ওই নারী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী হয়েও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস দ্বারা শ্লীলতাহানির শিকার হলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সাংসদ সদস্য জনাব সাবের হোসেন চৌধুরীর কাছে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি আইনগত সহযোগিতা কামনা করছি।’

    ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. মুরাদুল ইসলাম। 

    ভিডিওতে দেখা যায়, চিত্তরঞ্জন দাস একটি কক্ষে ২০-২১ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করছেন। ওই কক্ষের কেউ তা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন; যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

    তবে এই ভিডিওর ব্যাপারে গতকাল চিত্তরঞ্জন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি কোনো আপত্তিকর ভিডিও নয়। আমি ওই নারীর সঙ্গে নাটকের রিহার্সাল করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘এটি মূলত একটি নাটকের সংলাপ। আমার এলাকার বরদেশ্বরী মন্দিরে চিত্রায়িত। ভিডিওটি খেয়াল করলেই বুঝবেন।’

    শুক্রবার রাতে চিত্ত রঞ্জন দাসের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ‘ব্যক্তি চিত্তরঞ্জন দাসের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় দল নেবে না।’

    সবুজবাগ থানার ওসি গতকাল জানান, ফেসবুকে একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

    প্রকাশিত: রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১