• সর্বশেষ আপডেট

    নোয়াখালীর মেঘনা উপকূলে নদী ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে জনপদ

    নোয়াখালীর মেঘনা উপকূলে নদী ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে জনপদ
    মোঃ ইব্রাহিম নোয়াখালীঃ- নোয়াখালীর দক্ষিনে মেঘনা উপকূলে এলাকায় অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে সরকারী প্রতিষ্ঠান, বিস্তৃর্ন ও জনপদ। তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, ফসলি জমি। নদী ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্ধা ও কৃষকেরা।স্থানীয়রা জানায়, বিগত কয়েক বছরে মেঘনা উপকুলে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা বেড়েছে । অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলী জমি। নদী গর্বে হারিয়ে যাচ্ছে স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার, আশ্রয় কেন্দ্রসহ সরকারী বেসরকারী গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। বর্তমানে হাতিয়ার চানন্দী, হরনি, বয়ারচর এলাকায় নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

    এ সব এলাকায় সম্প্রতি নদীর গহবরে হারিয়ে গেছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। ভাঙ্গন আতঙ্কে অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নেয়ার জন্য অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। অনেকের বাড়ি-ঘর একাধিকবার ভেঙ্গে নিয়ে গেছে সর্বনাশা মেঘনা। তাই ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এসব অসহায় মানুষগুলো নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।হাতিয়ার চতলা খাল পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আরিফুর রহমান জানান, সরকারের কোটি কোট টাকার উন্নয়ন প্রকল্প রক্ষা করতে হলে এখনই নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্লক বাঁধা নির্মানের বিকল্প নেই।

    আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই ব্লক বাঁধ নির্মান করা না গেলে হাতিয়াকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা যাবেনা।নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন জানান, আমরা ইতিমধ্যে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঝুকিপূর্ন এলাকা চিহিৃত করে প্রকল্প আকারে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। যা একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। প্রকল্পটি পাস হলে দ্রুত আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো: খোরশেদ আলম খান জানান, গুরুত্ব বিবেচনায় মেঘনা নদী ভাঙ্গন রোধে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    প্রকাশিত: শনিবার ১০ এপ্রিল, ২০২১