• সর্বশেষ আপডেট

    সীতাকুণ্ডে প্রতিদিন ভীড় করছে হাজার হাজার পর্যটক


    নাছির উদ্দিন শিবলুঃ প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যে গড়া চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুনণ্ড উপজেলা। এখানে রয়েছে সমতল ভূমি ক্ষুদ্র অংশের মাঝে সমূদ্র লোনাজ্বল ও পাহাড়ের গুল্মলতায় মুড়ানো বন ভূমি বেষ্টিত হাজার বছরের পুরোনো সভ্যতার আদি নিদর্শন মঠ-মন্দির। যা দেব-দেবতাদের পূণ্য ভূমির পরিচয় ভহন করে যুগ যুগ ধরে বিশ্বব্যাপী সনাতন দের পূর্ন ভূমির স্বীকৃিত।

    এছাড়া ইংরেজ শাসনের শুরুতে জনবসতি জড়িয়ে স্থাপিত কল-
    কারখানায় শিল্পাঞ্চলের ভূমিকা চীর বিকাশমান। এছাড়া পর্যটন ও কর্মসংস্থনে পরিপূর্নতা পেয়ে ক্ষুদ্র
    আয়তন নির্ভর পরিসওে সব শ্রেনী পেশার মানুষের তীঘ দৃষ্টি সব সময় প্রতিয়মান।

    এ অবস্থায় শিল্পঞ্চলের মাঝে পর্যটনের নাম- ডাক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ঐতিহ্য নির্ভও সীতাকুনণ্ড। 

    ফলে আমাজন বনের সাদৃশ্য পাহাড় ঘেরা প্রকৃতি সৃষ্ট সুর্ন্দয্য অবলোকনে ভীড় জমিয়ে
    রীতিমত ঝঁড় তুলছেপন র্যটকরা।
    ইকোপার্ক, গুলিয়াখালী, ছোট দারগারহাট সহশ্রধারা, চন্দ্রনাথ ধাম, ভাটিয়ারী নেভাল, কুমিরা ফেরী ঘাট ব্রীজ ও পোর্টকানেকটিং বীচসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বছর জুড়ে থাকছে পর্যটকের ভীড়ে সরগরম।

    প্রকৃতির নিজস্ব সাজে গড়া পাহাড় ও সমুদ্রের সুন্দর্য্য নির্ভও বিস্তৃত পর্যটন কেন্দ্র ঘুরতে লাগে
    দিনব্যাপী সময়। প্রত্যান্ত অঞ্চল হতে পৌরসদরে পা ফেললে ৩ কিলোমিটারের ব্যবধানে মিলবে ৩টি পর্যটন কেন্দ্র। স্থানীয় যানবাহনে ১ কিলোমিটার দক্ষিনের পথে ফকিরহাট হতেপূর্ব রাস্তা ধওে কিছুদুর গেলে দেখা মিলবে পাহাড় ঘেরা ইকোপার্ক ও বোটানিকেল গার্ডেন। 

    কোলাহলমুক্ত নির্জনতার মাঝে এলোমেলো পথের শুরুতে চোখ জুড়িয়ে আলীঙ্গন করবে বন বিভাগের সুদর্শন অফিসের চারপাশের গোলাপবাগান, কাজী নজরুলের ভাস্কর্য, শিশুপার্ক, চন্দ্রধাম ও ইকোপার্কের মানচিত্র। এরপর উচু-নিচু টিলা বেয়ে উপরে উঠতে মন জুড়িয়ে মনকে পাগল করে তুলবে দেশী-বিদেশী বৃক্ষের মাঝে স্থাপিত বিশ্রামগার ও সহ¯্রধারা ঝর্ণা। প্রায় ৩’শ সিড়ির বেয়ে নিচে নামলে দৃষ্টি গোচর হবে মনমুগ্ধকর ঝর্না ধরার দৃশ্য।

    এটি দেখতে ভূল করলে মিস হবে পার্কে ঘুরা-ফেরার আসল মজা। যে কারনে শেষ আনন্দ
    উপভোগে শত কষ্টের মাঝেও ঝর্ণার স্বাধ নিতে পিছ-পা হয় না শিশু, কিশোর-কিশোরী,যুবক-যুবতী ও
    বৃদ্ধরা।এছাড়া পড়ন্ত বিকেলে পাহাড়ী পথে চলতে থাকলে চোখে ভেসে উঠবে বিস্তৃন সমতল সবুজ ভূমির পাশে সাগরের লোনা জ্বলের ঝিলিক।

     সে সাথে লাল আবায় ডুবন্ত সুর্য্যও মন ভোলানো দৃশ্য চীর স্থায়ীভাবে গেঁথে তাকবে হৃদয়ের মন কুটিরে। আবার ভুতুড়ে পথ পাড়ি দিয়ে উচ্চ শিখরে পৌঁছলে চোখে উকি- ঝুকি মারবে পুরোনো সভ্যতার নিদর্শন চিহ্নিত হাজার বছরের পুরোনো দেব-দেবতাদের আদি স্থান চন্দ্র নাথ ধাম। এই মন্দিরে দাঁড়িয়ে থাকা একেকটি দালান ধারন কওে আছে জগত সৃষ্টির নানা ইতিহাস। যা
    খুঁজতে যুগর পর যুগ পার করেও শেষ করার পরও থাকবে অসম্পূর্ন।

     তাই শিখা ও দেখার শেষ না হলেও থাকা- খাওয়া ও নিরাপত্তারজনিত কারনে নামতে হবে বন-জঙ্গঁলের পাহাড় হতে।এমনিভাবে হাজারো ভ্রমন প্রেমীরদের
    প্রতিদিন হাতছানী দিয়ে ডাকছে সমুদ্রের লোনাজল ও পরিশোধীত বাতাস গ্রহনের স্থানখ্যাত
    গুলিয়াখালীসমুদ্র সৈকত।

    বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানের একদল ছাত্রের পেইসবুক ভাইরালের ফুটে উঠা
    বীচের সুন্দর্য। সমুদ্র উপকুলে ঘুরতে আসা ছাত্রদের চোখে ধরা পড়ে ঘাসে মুড়ানো সবুজ ছাদরের
    ব্যাক্তিক্রমী দৃশ্য। এছাড়া ঘাস মুড়ানো বিছানার পাশে সমুদ্রের ঢেউয়ের সৃষ্ট ছোট ছোট গর্তে
    পানি ডুকে পড়ার মনোরম দৃশ্য এই সৈকতের সুন্দর্য বর্ধন করছে। নতুনত্বেও প্রতি আকৃষ্টতায় দেশী-
    বিদেশী মানুষের বিনোদনের উপভোগ্য স্থানে রুপ নিয়ে লোকে-লোকরন্য হয়ে উঠেছে গুলিখালী সৈকত।

    বিড়ম্বনা ছাড়া ও টিকের ঝামেলা না থাকায় বীচে দর্শনার্থী যাতায়াত অত্যান্ত সহজলভ্য। যে কোনো
    পরিবহনে সীতাকুন্ড বাজার ও ফকিরহাট ফেরী ঘাট সড়ক হয়ে উপকুল কেন্দ্রিক পথ ধওে চলতে থাকলে পাওয়া যাবে লালকাঁকড়ার সমুদ্রবীচ। বেড়ীবাঁধ হয়ে দীর্ঘয়াতনের বিস্তৃর্ন পথ চলতে গিয়ে বাঁধ রক্ষা কেওড়া বাগানের ভেতর উকি–-ঝুঁকি দিতে থাকা মায়া হরিনের ঝাঁক চোখে-মুখে জাগাবে শিহরন।

    সে সাথে নানা জাতের পাখিরকল-কাকলির সুরলহরীর গুঞ্জনে ব্যাতি-ব্যস্ত করে তুলবে হামেশা। এছাড়া জেলেদের ডিঙ্গি
    নৌকা বাইচের সারি ভাঁসিয়ে নিবে স্বপ্নের অজানা রাজ্যে। আর মনমাতানো হওয়ায় কাটানো দিনের
    সবটুকু সময় ফেরিয়ে গেলেও মায়া জড়ানো বীচকে ছেড়ে আসা হবে দুস্কর। সরকারী- বেসরকারী
    উদ্যোগে হোটেল –রির্সোটের ব্যবস্থা থাকলে রাতটাও পার করা যেত সৌৎ¯œার আলোয় শরীর বিছিয়ে।

    তবে সে আশাও একদিন পূরনের সম্ভবনাময় দ্বার খলবে বলে আশা পর্যটক ও স্থানীয়দের। এ ছাড়া
    ভাটিয়ারীতে সেনাবাহিনী সংরক্ষিত বিনোদনের স্থানটি নানা সুন্দর্য দ্বারা পরিবেষ্টিত। একইভাবে
    পাহাড়ের গভীর অরন্যে উচু টিলা বেধ করে নেমে আসা ছোটদারগারহাট ঝর্ণা ধারার সুন্দর্য
    বর্ণনাতীত। কষ্ট স্বীকার কওে গন্তব্যে পৌছলে আতœতৃপ্তির শেষ থাকবে না জীবদ্বশায়।

    এদিকে প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে জীব-বৈচিত্রকে অবলম্বন কওে টুরিজমের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেলেও নেই
    সরকারী স্বীকৃতি। এতে করে সব সময় পর্যটকের নিরাপত্তাটা থেকে যাচ্ছে সবার অগোচরে। তবে
    গুলিয়াখালীসহ সব বিনোদনের স্থানকে পর্যটনের স্বীকৃতি দিয়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে কাজ কওে
    যাচ্ছেন সামাজিক সংগঠন চট্টগ্রাস্থ সীতাকুন্ড সমিতি।

    এ বিষয়ে সীতাকুন্ড সমিতির সাবেক সভাপতি ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষন কমিটির সাধারন সম্পাদক মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন,‘ নানা বৈচিত্রে গড়া সুন্দর্য সীতাকুন্ড। এ কারনে হরেক রকমেরসুন্দর্য এক সাথে পেয়ে বিনোদন কেন্দ্রেগুলোতে ভীড় করছে পর্যটক। কিন্তু নিরাপত্তাজনীত সমস্যাসহ থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থার অভাবে দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান করতে পারে না পর্যটকরা।’ আর বৈচিত্রগতভাবে গুলিয়াখলী বিচটি ব্যাতিক্রমী হওয়ায় পর্যটন শিল্পের স্বীকৃতি প্রদানে মন্ত্রনালয়ে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।

    প্রকাশিত: শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০