• সর্বশেষ আপডেট

    হঠাৎ পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করলে কি করবেন?

    মনিরুজ্জামান, বগুড়াঃ- আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা অন্যান্য প্রয়োজনে পুলিশ বিভিন্ন অভিযানে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আটক করে থাকে। তবে কোন অভিযোগ ছাড়া কাউকে অনির্দিষ্টকাল আটক করে রাখতে পারে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হয় বা কোন আইনের আওতায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে হয় এবং কোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনে আটকের আদেশ দিতে পারে।

    পুলিশ আপনাকে গ্রেফতার করলে করণীয়ঃ
    পুলিশের নিকট নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পেশজীবি বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। একারণে সবসময় পরিচয়পত্র সাথে রাখা উচিত। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অবশ্যই একজন আইনজীবির মোবাইল নং নম্বর সাথে রাখতে হবে এবং গ্রেফতারের পর দ্রুত আইনজীবিকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। অন্তত আত্নীয় বা বন্ধুবান্ধবকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করতে হবে। ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেয়া হয়, আর যে কোন থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়া হয়। গ্রেফতারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তার বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন, কাগজ, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি থাকলে তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরী করে আটককৃত ব্যক্তির সাক্ষর নেয়। এই সাক্ষর দেবার সময় তালিকাটি পড়ে নেয়া উচিত।

    পুলিশ অফিসারের নিকট কোন বিবৃতি দিলে তা পাঠ করে বা বিবৃতির ভাষ্য অবগত হয়ে তাতে স্বাক্ষর করা উচিত। গ্রেফতারের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সরাসরি বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে কোন পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে বা অসুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিতে হবে। চেকআপ করালে এ রিপোর্টটি সংগ্রহে রাখা উচিত। চেকআপকারী ডাক্তারের পরিচয় জেনে রাখা উচিত কারণ তা পরবর্তীতে প্রয়োজন হতে পারে। পুরনো কোন মামলায় গ্রেফতার হলে দ্রুত ঐ মামলার নম্বরসহ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন শুনানীর চেষ্টা করা যেতে পারে। নতুন কোন মামলায় বা কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হলে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জামিন শুনানীর চেষ্টা করতে হবে।

    লেখা/পরামর্শে
    মুনতাসীর মাহবুব রাকিব
    এল‌এল.বি(অনার্স)
    এল‌ এল.এম
    এম‌ এম(এম.এ)
    এ্যাডভোকেট

    প্রকাশিত: বুধবার, ০৮ জুলাই, ২০২০