• সর্বশেষ আপডেট

    চট্টগ্রামে পার্কভিউ হাসপাতালে বাবার লাশ ফেলে পালালেন স্বজনরা



    মাহমুদ আরাফ মেহেদি:: কদিন আগে গেল মা দিবস, ফেসবুক ওয়ালে মানুষের মাকে নয়ে ভালোবাসার স্টাট্যাস এ টুটম্বর, এক মাস পরে বাবা দিবস, হইত বাবাকে নিয়েও ভালোবাসার স্টাট্যাস এর ভির কম হবেনা। তবে বাস্তবতা এই দুর্যোগে অনেক মানবিক গল্প যেমন আছে, তেমনি আছে  নিষ্ঠুরতার গল্পও, তবে এই করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বড় বড়  করুণ অমানবিক  গল্প জমা হচ্ছে অনেক পরিবারে। 

    এইতো করোনা সন্দেহে মৃত বাবার লাশ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ফেলে ৩ মিনিটের মাথায় পালালো ছেলে মেয়েরা।

    ঘটনাটি ঘটে বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ঘটে নগরীর পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে।

    এসময় এই প্রতিবেদক সেখানে ছিলেন তিনি বলেন হাসপাতেলের জরুরী বিভাগে প্রাথিমিক চিকিৎসা নিয়ে ডাক্তারের সাথে আলাপচারীতা করার সময়, এক মহিলা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন স্যার আমার বাবাকে একটু দেখেন উনি হঠাত জ্ঞান হারিয়েছেন, ডাক্তার এনামুল কবির তানভীর সাথে সাথে  বললেন তাড়াতাড়ি  নিয়ে আসুন,  আমিও একটু পর বের হয়ে গেলাম হাসপাতালের প্রধান ফটকে দাড়াতেই দেখলাম রোগীকে নিয়ে আসা একজন পুরুষ একজন মহিলা হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রিক্সায় উঠে চলে যাচ্ছে আমি বুঝতেই পারিনি যে তারা লাশ রেখে পালিয়ে যাচ্ছে।

    এদিকে পুরো ঘটনাটির বর্ণনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন হাসপাতালের হেড অব এক্সিডেন্ট এন্ড ইমার্জেন্সি ডাক্তার এনামুল কবির তানভির। তিনি লিখেছেন, 'হঠাৎ একজন এসে বললো, স্যার আমার বাবার অবস্থা খুব খারাপ। আমি বললাম, এখনি নিয়ে আসুন। আসার সঙ্গে সঙ্গে ডা. রিয়াদ মুনতাসির ( Emergency Medical Officer)ও নার্সরা রোগীর ভাইটাল দেখছিলো আর হিস্টোরি  নিচ্ছিলো। আমি অন্য আরেকটি রোগীকে দেখে আসার পর দেখলাম রোগীটি মৃত।


    হিস্টোরি অনুযায়ী, রোগিটি বাসায় অবস্থানকালেই মারা যায়। তারপর, ব্যাপারটা রোগীর সঙ্গে আসা লোকদের জানালাম। এবং বললাম যে   নিয়ম অনুযায়ী ECG করে কনফার্ম করে দিচ্ছি। 

    এরপর আপনারা নিয়ে যেতে পারবেন, ECG করতে হয়তো সর্বোচ্চ ৩ মিনিট লাগল। এর মধ্যেই রোগীর সাথে আসা সন্তান ও আত্মীয়রা পালিয়েছে। পালানোর সময় রোগীর সাথে নিয়ে আসা হুইল চেয়ারটাও নিয়ে গেলো। কিন্তু নিলনা শুধুমাত্র তাদের বাবাকে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ রেজাউল করিম দিগন্ত নিউজকে বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী নিয়ে আসেন, রোগী মৃত জানতে পেরে স্বজনরা লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পাচঁলাইশ থানায় খবর দিলে পুলিশের একটি টিম এসে মরদেহটি তার গ্রামের বাড়ি পটিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

    মারা যাওয়া ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করতে না চাইলেও ঘটনাটি স্বীকার করেছে পুলিশ।
    যদিও ওই ব্যক্তির করোনা ছিল কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি। কেননা, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। ফলে আর টেস্টও হয়নি।

    দিগন্ত নিউজ ডেস্ক/কেএস

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০