• সর্বশেষ আপডেট

    মাধবপুরে কৃষকের সর্বনাশ, সবজি চাষী আবুল বাসার আর্থিক ক্ষতিতে


    পিন্টু অধিকারী  মাধবপুর ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:- পৃথিবী সব দেশ এখন করোনার প্রভাবে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তেমই বাংলাদেশও এর প্রভাব পড়েছে, হবিগঞ্জের মাধবপুরে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সবজি চাষি আবুল বাসার ব্যাপক  আর্থিক ক্ষতিতে পরতে হল।

    শনিবার ১৭ (এপ্রিল) মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকায় ঘুরে দেখা যায় উপজেলা জুড়ে সবজি চাষিরা নানা রকম সবজি চাষ করেছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছে ব্যাপক ক্ষতিতে পরতে হবে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মাধবপুর উপজেলা ইউনিয়নগুলো সহ পৌর শহর এখন অঘোষিত লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে মানুষ জন ঘর থেকে বের হবে না। কৃষকরা জানান, সবজি হচ্ছে পচনশীল পণ্য ক্ষেতে বিভিন্ন রকম সবজি পচন শুরু করেছে যেমন, টমেটো, শশা, বেগুন, লাউ, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি আরও জানান তারা এখন অর্থনীতি ক্ষতিতে পরতে হল সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।
    সরেজমিনে দেখা যায়, মাধবপুরের হাট-বাজারগুলোতে আগের মতো সবজি কেনাবেচা নেই। নেই দুর-দুরান্ত থেকে আসা পাইকাররাও। নিজেরাই নিজেদের উৎপাদিত সবজির পশরা সাজিয়ে বসছেন অনেক কৃষক। তবে ক্রেতার অভাবে কম দামে সবজি বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

    উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের এক সবজি চাষী আবুল বাসার জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাব পরেছে এখন সবজিতে দেশে প্রাণঘাতী করোনায় এখন অঘোষিত লক ডাউন থাকাতে চাহিদা কমে গেছে। শসা,টমেটো,বরবটি বিক্রি করতে পারছি না ক্ষেতে শসা পরে আছে বাজারে বিক্রির জন্য নিতে পারছি না ও আমার চাষ করা টমেটো পচে যাচ্ছে বিক্রি করতে পারছি না।
    তিনি আরও জানান, আমি ১০ বিঘা জমিতে শসা, ৫ বিঘা জমিতে টমেটো, ৩ বিঘা জমিতে বরবটি চাষ করেছি এই সবজি এখন ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করতেও পারছি না, ক্ষেতে পরে সবজি পচে যাচ্ছে ।

    তিনি আরও বলেন, এমন অবস্তা চলতে থাকলে আমি পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে। করোনার কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ। ট্রাক চালকরা করোনা ঝুঁকি নিয়ে কোথাও ভাড়ায় যেতে চায় না। এ কারণে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এখানকার উৎপাদিত সবজি পাঠানো যাচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর-দুরান্ত থেকে পাইকাররাও আসছে না সবজি সমৃদ্ধ এই এলাকায়। যদিও কৃষি বিভাগ থেকে একটু সময় নিয়ে ক্ষেতের ফসল উত্তোলনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    উপজেলা উপ-কৃষি কর্মকর্তা তাপস চন্দ্র দেব জানান, করোনার কারণে কৃষি পণ্যবাহী পরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা আসতে না পারায় সবজি চাষিরা ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘এখনো ভরা মৌসুম আসেনি। সবেমাত্র গ্রীষ্মকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকার ঘোষনা দিয়েছেন কৃষকদের লোন প্রদান করা হবে  কম সুদে। কৃষকরা কম সুদে লোন গ্রহণ করে তাদের আর্থিক ক্ষতি থেকে উঠে আসতে সক্ষম হবে।


    প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০