• সর্বশেষ আপডেট

    চট্টগ্রামে ত্রাণ চাওয়া্য় মহিলাকে লাঞ্চিত করলেন, মহিলা মেম্বারের স্বামী

                              
    এস এম সালাহ্উদ্দীন,আনোয়ারা:  চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের বাড়িতে ত্রাণ চাইতে গিয়ে কুলছুমা বেগম (৪৫) নামে এক মহিলাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই মহিলাকে মেম্বারের স্বামী আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগও পাওয়া গেছে। 

    শনিবার (২৫ এপ্রিল) বৈরাগ ইউনিয়নের আমানউল্লাহ পাড়া ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার কুলছুমা আকতারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে থাকা কুলছুমা বেগম কিছু ত্রাণের আশায় দুপুরে মহিলা মেম্বারের বাড়িতে গেলে মহিলা মেম্বারের স্বামী আবদুল আজিজ ত্রাণ না দিয়ে উল্টো গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। ত্রাণের জন্য কাকুতি মিনতি করায় চড়-থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। 


    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ১নং বৈরাগ ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কুলছুমা আকতারের বাড়ীতে ত্রাণ দেওয়ার কথা শুনে কুলছুমা বেগম মহিলা মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে তাকে ত্রাণ সহযোগিতা দেয়ার কথা বলেন। 

    এ সময় মেম্বারের স্বামী আব্দুল আজিজ ওই মহিলাকে ত্রাণের জন্য তার কাছে কে পাঠিয়েছে জিজ্ঞাসা করলে প্রতিউত্তরে মহিলা বলেন,  এলাকার মেম্বার আমাকে পাঠিঁয়েছে। এ কথা শুনে মেম্বারের স্বামী বলেন তালিকায় তোমার নাম নেই। তখন ওই মহিলা বলেন, ভোটের সময় আমাদের দরকার হয় আর ভোট চলে গেলে আমাদেরকে গণনা করেন না, দেখি আর কোন সময় আমাদের প্রয়োজন হয় কিনা। 

    একথা বলে চলে যাওয়ার সময় মহিলা মেম্বারের স্বামী আবদুল আজিজ ওই মহিলাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে চড় থাপ্পর মারতে থাকে।


    এ ঘটনার পর আনোয়ারা থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মহিলা। এ বিষয়ে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কুলছুমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামী ও আমাকে হেনস্তা করার জন্য এ ঘটনা সাজানো হয়েছে। 

    এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)দুলাল মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    উল্লেখ্য ১নং বৈরাগ ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা। তিনি বিধবা ভাতা,বয়স্কভাতার বই করে ভাতা দিবে বলে উৎকোচ গ্রহণ করেছে অনেকের থেকে। এবং দরিদ্র ও কর্মসংস্থানের নামে শ্রমিকদের তালিকায় নিজের স্বামী, দেবর, নিজ পরিবারের সদস্যদের নাম দিয়ে শ্রমিকদের টাকা মারার অভিযোগ রয়েছে। ওয়ারিশ সনদ থেকে ওয়ারিশ বাদ দিয়ে সনদ দেওয়া সহ অহরহ অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।


    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০