আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি বলেছেন পম্পেও মার্কিন-তালেবান আলোচনায় অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন
কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালেবান নেতাদের শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে এক ফোনালাপের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। খবর আল-জাজিরার।
আফগান প্রেসিডেন্ট একটি টুইট বার্তায় জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানিয়েছে যে তালেবান নেতারা উল্লেখযোগ্য ও স্থায়ীভাবে সংঘর্ষ কমাতে চায়। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে চুক্তি করতে আগ্রহী।
Today, I was pleased to receive a call from @SecPompeo, informing me of the notable progress made in the ongoing peace talks with the Taliban. The Secretary informed me about the Taliban’s proposal with regards to bringing a significant and enduring reduction in violence.— Ashraf Ghani (@ashrafghani) February 11, 2020
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে ১৩,০০০ মার্কিন সদস্য সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য হিসাবে।
টুইট বার্তায় আশরাফ লিখেছেন, তালেবান ও মার্কিন প্রতিনিধিদের এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানাচ্ছি। কেননা উভয় পক্ষই শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে চালানো হামলার পর থেকেই আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিন সামরিক জোট ন্যাটো তাদের আগ্রাসন শুরু করে আমেরিকা তত্কালীন তালেবান সরকারকে আল-কায়েদার প্রাক্তন নেতা ওসামা বিনকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছিল। লাদেন যিনি 9/11 হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে বিবেচিত ছিলেন।
যার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে তালেবান সরকারকে অঞ্চলটির ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়। মূলত তখন থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছে গোষ্ঠীটি।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে ১৩,০০০ মার্কিন সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য হিসাবে।
উল্লেখ্য, যদিও দীর্ঘ ১৮ বছর পর ব্যাপক রক্তক্ষয় শেষে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গত বছরের জুন থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা করে আসছে তালেবান। যার ধারাবাহিকতায় চলমান শান্তি আলোচনার সর্বশেষ এই অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।