• সর্বশেষ আপডেট

    ৫ দিনব্যাপী গোসাই নবান্ন উৎসব




    নবান্ন বাংলাদশে ও ভারতরে পশ্চমিবঙ্গরে ঐতহ্যিবাহী শস্যোৎসব। বাংলার কৃষজিীবী সমাজে শস্য উৎপাদনরে বভিন্নি র্পযায়ে যে সকল আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালতি হয়, নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম।

    "নবান্ন" শব্দরে র্অথ "নতুন অন্ন"। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থকেে প্রস্তুত চালরে প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজতি উৎসব। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠতি হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসওে নবান্ন উদযাপনরে প্রথা রয়ছেে।

    এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় শ্রী গুরু সংঘ আশ্রমে বুধবার (১৫ জানুয়ারি)থেকে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী ৯৪তম গোসাই নবান্ন উৎসব। উৎসবউপলক্ষে   আমুয়ার   সোনাউটা   গ্রামের  এ   আশ্রমে   নানা   অনুষ্ঠানের আয়োজন   করা   হয়েছে।

    অনুষ্ঠানমালার   মধ্যে   রয়েছে   নাম   কীর্তন,   লীলাকীর্তন, মহোৎসব ও পিঠা পুলি। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদকতরুন কর্মকার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমাদুল হকমনির,   ইউপি   চেয়ারম্যান   আমিরুল   ইসলাম   ফোরকানসহ   দেশ-বিদেশেরহাজার হাজার ভক্তবৃন্দ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। প্রসাদ বিতরণের মধ্যে দিয়েআগামী ২০ জানুয়ারি সমাপ্ত হবে এ উৎসব।

    নবান্ন উৎসব হিন্দুদের একটি প্রাচীন প্রথা। হিন্দুশাস্ত্রে নবান্নের উল্লেখ ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করা রয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ধান উৎপাদনের সময় পিতৃপুরুষ অন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এই কারণে হিন্দুরা পার্বণ বিধি অনুযায়ে নবান্নে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে থাকেন। 

    শাস্ত্রমতে, নবান্ন শ্রাদ্ধ না করে নতুন অন্ন গ্রহণ করলে পাপের ভাগী হতে হয়। একদা অত্যন্ত সাড়ম্বরে নবান্ন উৎসব উদযাপন হত, সকল মানুষের সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে নবান্ন উৎসব সমাদৃত ছিলো। 

    কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নবান্ন উৎসব বিলুপ্তপ্রায়। তবে এখনও বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু এলাকায় নবান্ন উৎসব অত্যান্ত উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়।বাংলাদেশের বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার শালগ্রাম সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে আবহমানকাল ধরে নবান্ন উৎসব অত্যান্ত উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়ে আসছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ,বীরভূম, বর্ধমান সহ বিভিন্ন স্থানে আনুষ্ঠানিক নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়।

    ১৯৯৮ সন থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছে। জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ প্রতিবছর পহেলা অগ্রহায়ণ তারিখে নবান্ন উৎসব উদযাপন করে।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    মোঃ আল-আমিন, ঝালকাঠিঃ-

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২০