• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    মোটরসাইকেল আটকাতে গিয়ে পুলিশ সদস্য নিহত

     

    নম্বর প্লেট ছাড়া মোটরসাইকেল। পুলিশের চেকপোস্ট দেখে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুই যুবক। তাঁদেরকে সংকেত দিতে যান দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল ফয়সল আহমদ। কিন্তু সংকেত না মেনে গায়ের ওপর তুলে দেওয়া হয় মোটরসাইকেলটি। এতে গুরুতর আহত হন ওই পুলিশ সদস্য। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। 


    আজ রোববার দুপুরে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক পয়েন্টে পীর হবিবুর রহমান চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন। 


    নিহত ফয়সল আহমদ সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) মোগলাবাজার থানায় প্রেষণে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মামুরখালি বারকাপ্তা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। 

    পুলিশ জানায়, ফয়ছল আহমদ দিবাকালীন সিয়েরা ৫১ ডিউটিতে পারাইরক পীর হবিবুর রহমান চত্বরে ছিলেন। ঘটনার সময় সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়কের পারাইরচক বাইপাস হয়ে একটি নম্বর প্লেট ছাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে দুই যুবক বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসছিলেন। যুবকেরা হলেন মোটরসাইকেল চালক গোলাপগঞ্জ উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মাজবাহ উদ্দিনের ছেলে মো. সামি (১৯), একই উপজেলার রামপা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে মাহবুবুর রহমান লিমন (১৮)। 

    সামি ও লিমন বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসলে কনস্টেবল ফয়ছল থামাতে সংকেত দেন। কিন্তু মোটরসাইকেল আরোহীরা সংকেত না মেনে তাঁর গায়ে আঘাত করেন। তাৎক্ষণিক ফয়ছল মাথায় ও পায়ে জখম হন। গুরুতর আঘাত পেয়ে তাঁর মাথায় রক্তক্ষরণ হয়। তাৎক্ষণিক সঙ্গীয় কনস্টেবল রাশেদ খাঁন রাজুসহ সিএনজি অটোরিকশায় করে দ্রুত তাঁকে নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

    ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘এই ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক মো. সামি ও আরোহী মাহবুবুর রহমান লিমনকে আটক করা হয়েছে। আটক সামি সামান্য আঘাত পেয়েছেন এবং লিমন মুখে আঘাত পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
    প্রকাশিত রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩