ইভিএমে ভোট হলে রাতে ভোটের শঙ্কা নেই: সিইসি
ইভিএমে ভোট হলে রাতে ভোট হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ব্যালটে ভোট হলেই বরং ভোট কারচুপির আশঙ্কা বেশি থাকে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিইসি। আগাম নির্বাচন সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর এবং ইভিএমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন।
নির্বাচন ভবনে এ ব্রিফিংয়ে চার নির্বাচন কমিশনার—আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপিসহ সংলাপ বর্জন করা দলগুলোকে বরাবরই ভোটে আসার আহ্বান জানানো অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আনতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকট নিরসন করা। বড় কোনও দল নির্বাচনে না এলে তা লিগ্যালি সিদ্ধ হলেও পুরো লেজিটিমেট হবে না।
তিনি বলেন, ‘কাউকে জোর করে ভোটে আনার বিষয়টি কমিশনের নয়। দলগুলোকে ভোটে আসতে শেষ পর্যন্ত আহ্বান অব্যাহত থাকবে। আগাম নির্বাচনের কোনও প্রস্তুতি নেই। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, শতভাগ সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করা ইভিএমে যেমন সম্ভব নয়, ব্যালটেও পুরোপুরি সম্ভব নয়। বিষয়টা আপেক্ষিক হতে পারে। আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছিলাম— ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে ভোট অনেক বেশি নিরাপদভাবে করা সম্ভব হয়। এটা যান্ত্রিক কারণে।
ইভিএম নির্বাচনে কোনোভাবেই বড় চ্যালেঞ্জ নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ইভিএম মোটেই বড় চ্যালেঞ্জ নয়। আমাদের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে—যে রাজনৈতিক সংকটটা বিরাজ করছে, নির্বাচনে সবাই বা প্রধানতম দলগুলো অংশ নেবে কিনা, সেটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
ইভিএমে ভোট করলে পোলিং প্রসেস সহজ হয়। নির্বাচনে বড় দলগুলো একেবারেই অংশ না নিলে নির্বাচনের লিগ্যালিটি নিয়ে কোনও সংশয় হবে না।
তবে লেজিটিমেসি শূন্যের কোঠায় চলে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘এটা আপেক্ষিক। লেজিটিমেসি ও লিগ্যালিটি বুঝতে হবে। লিগ্যালি নির্বাচন শুদ্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু লেজিটিমেট পুরোপুরি হবে না।’
সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশন সবসময় আন্তরিকভাবে চায় সব দল ভোটে অংশ নিক। সে লক্ষ্যে ইসির প্রয়াস শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।