একে একে সিলেটের সব জেলায় বাস ধর্মঘটের ডাক
কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। সেখানে প্রায় চার লাখ লোকসমাগমের টার্গেট নিয়েছে দলটি। নেতাকর্মীরাও নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। পাশাপাশি পুরোদমে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। তবে, অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটেও বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন থাকছে পরিবহন ধর্মঘট।
শুধু সিলেট জেলাতে নয়, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন এই বিভাগের সব জেলাতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এতে শনিবার সিলেটের চার জেলাতেই চলবে না বাস ও মিনিবাস। সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন-করিমন ও পরীক্ষামূলক (অন-টেস্ট) সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধসহ নানা দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেও হবিগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ভিন্ন একটি কারণে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলোকে যেতে দিচ্ছে না দাবি করে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
এদিকে, সিলেট জেলায় শনিবার ৬টা থেকে পরদিন রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
পরিবহন সংগঠনগুলোর দাবি, এই ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা দাবি আদায়ে ধর্মঘট পালন করবে। বিপরীতে বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের গণসমাবেশ বানচাল করতেই সরকারের নির্দেশে এসব ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ধর্মঘটের বিষয়ে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বলেন, দাবিগুলো জানিয়ে আমরা কিছু দিন আগে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট পালন করা হবে। ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সিএনজি অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ, সিএনজি অটোরিকশার সামনের গ্লাসে গ্রিল লাগানো বন্ধ, ব্যাটারিচালিত অবৈধ টমটম চলাচল বন্ধ, ট্রাক, ট্যাংকলরি, পিকআপ, কাভার্ডভ্যানে চাঁদাবাজি, পুলিশি হয়রানি বন্ধ এবং মৌলভীবাজারে একটি স্থায়ী ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে আগামী ১৮ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার সব রুটে বাস-মিনিবাস ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।
সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজী এলাকার এমএ খান সেতুর টোল আদায় বন্ধ, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও পরীক্ষামূলক (অন-টেস্ট) সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধ, সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবিতে আগে থেকেই আন্দোলন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে বাস ধর্মঘটের কোনও সম্পর্ক নেই।
হবিগঞ্জ জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলো যেতে দিচ্ছে না। উপজেলা শহরে যানজটের অজুহাতে তারা টার্মিনালে বাস যেতে দেয় না। বুধবার হঠাৎ গাড়িগুলো আটকে দিয়ে জরিমানা করেছে। অথচ অবৈধ নসিমন, করিমন, ইজিবাইক শহরে যানজট সৃষ্টি করলেও সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। তাই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দাবি করেন, বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে পারবে না। যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে। সিলেটের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
তিনি আরও বলেন, গণসমাবেশগুলোতে আপনারা দেখেছেন মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে, নৌকাযোগে, ছোট ছোট যানবাহনে উপস্থিত হয়েছেন। সর্বত্র মানুষের ঢল নেমেছিল। সব বাধা পেরিয়ে সিলেটেও জনতার ঢল নামবে।
প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২
শুধু সিলেট জেলাতে নয়, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন এই বিভাগের সব জেলাতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এতে শনিবার সিলেটের চার জেলাতেই চলবে না বাস ও মিনিবাস। সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের মহাসড়কে ইজিবাইক, নসিমন-করিমন ও পরীক্ষামূলক (অন-টেস্ট) সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধসহ নানা দাবিতে ধর্মঘট ডাকলেও হবিগঞ্জ পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ভিন্ন একটি কারণে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলোকে যেতে দিচ্ছে না দাবি করে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
এদিকে, সিলেট জেলায় শনিবার ৬টা থেকে পরদিন রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং হবিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
পরিবহন সংগঠনগুলোর দাবি, এই ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা দাবি আদায়ে ধর্মঘট পালন করবে। বিপরীতে বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের গণসমাবেশ বানচাল করতেই সরকারের নির্দেশে এসব ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ধর্মঘটের বিষয়ে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ বলেন, দাবিগুলো জানিয়ে আমরা কিছু দিন আগে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শনিবার সকাল ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত বাস ধর্মঘট পালন করা হবে। ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনও সম্পর্ক নেই। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সিএনজি অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ, সিএনজি অটোরিকশার সামনের গ্লাসে গ্রিল লাগানো বন্ধ, ব্যাটারিচালিত অবৈধ টমটম চলাচল বন্ধ, ট্রাক, ট্যাংকলরি, পিকআপ, কাভার্ডভ্যানে চাঁদাবাজি, পুলিশি হয়রানি বন্ধ এবং মৌলভীবাজারে একটি স্থায়ী ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে আগামী ১৮ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার সব রুটে বাস-মিনিবাস ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।
সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজী এলাকার এমএ খান সেতুর টোল আদায় বন্ধ, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও পরীক্ষামূলক (অন-টেস্ট) সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধ, সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার ও আধুনিকায়নের দাবিতে আগে থেকেই আন্দোলন চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে বাস ধর্মঘটের কোনও সম্পর্ক নেই।
হবিগঞ্জ জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলো যেতে দিচ্ছে না। উপজেলা শহরে যানজটের অজুহাতে তারা টার্মিনালে বাস যেতে দেয় না। বুধবার হঠাৎ গাড়িগুলো আটকে দিয়ে জরিমানা করেছে। অথচ অবৈধ নসিমন, করিমন, ইজিবাইক শহরে যানজট সৃষ্টি করলেও সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। তাই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দাবি করেন, বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে পারবে না। যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে। সিলেটের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
তিনি আরও বলেন, গণসমাবেশগুলোতে আপনারা দেখেছেন মানুষ পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে, নৌকাযোগে, ছোট ছোট যানবাহনে উপস্থিত হয়েছেন। সর্বত্র মানুষের ঢল নেমেছিল। সব বাধা পেরিয়ে সিলেটেও জনতার ঢল নামবে।
প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২