• সর্বশেষ আপডেট

    ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি, চলন্ত বাস থেকে ফেলে যাত্রীকে হত্যা।

     

    দিগন্ত নিউজ ঢাকা: ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে চলন্ত বাস থেকে যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে বাসের নিচে চাপা পড়ে সেই যাত্রী নিহত হয়েছেন।

    নিহত যুবকের নাম আবু সায়েম মুরাদ। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ্ব হয়ে স্থানীয়রা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

    শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত চালক ও তার সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়েছে। তারা হলেন- শাহ আলম ও মোহন।

    নিহত মুরাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৪-২০০৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন।

    ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি বাসভাড়া নিয়ে বিরোধে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা বাসটির চালক ও হেলপারকে আটক করেছি। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার একটি মামলা করবে। আর বাস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হবে।’


    নিহত মুরাদের ভাই আবু সাদাত সায়েদ অভিযোগ করেন, চলন্ত বাস থেকে মুরাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় মুরাদ ৮ নম্বর বাসে ছিলেন। মুরাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর পর ওই বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

    স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাস থেকে সহকারী তাকে ধাক্কা দেন। এতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু সায়েম মুরাদ নামের এক ওই যুবক মারা যান।


    ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ৮ নম্বর বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে বাসটি পুড়ে গেছে। পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

    তবে ঘটনার পর স্থানীয়রা চালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে। বর্তমানে নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
    প্রকাশিত রবিবার ১৬ অক্টোবর ২০২২