• সর্বশেষ আপডেট

    লঞ্চে শিশুর জন্ম: য আজীবনের জন্য পুরো পরিবারের ভাড়া ফ্রি।

     



    হাসনাইন আহমেদ ভোলা থেকেঃ ঢাকা সদরঘাট থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে কালীগঞ্জ লঞ্চঘাট ও ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহি লঞ্চ আল ওয়ালিদ-৯ এ উঠেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা নারী সুরাইয়া খাতুন।  

    বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে লঞ্চটি কালীগঞ্জের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে প্রসব ব্যাথা ওঠে সুরাইয়া খাতুনের৷ লঞ্চটিতে তিনি একাই ছিলেন। তাঁর স্বামী ইউনুস সিকদার তাকে লঞ্চটিতে তুলে দিয়েছিলেন। ওই প্রসূতির প্রসব ব্যাথা উঠার খবর যায় লঞ্চের সুপারভাইজার মিজানুর রহমানের কাছে। পরে তিনি লঞ্চের দুই নারী যাত্রীর সহযোগিতায় তাকে লঞ্চের ২১১ নম্বর কেবিনে নিয়ে যান। সেখানে রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে সুরাইয়া খাতুন একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

    সুপারভাইজার মিজানুর রহমান সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটির নাম রেখেছেন বিবি মরিয়ম। লঞ্চটি ভোলার ইলিশাঘাটে এসে পৌঁছালে মিজানুর রহমান ইলিশাঘাট থেকে ৫ কেজি মিষ্টি কিনে লঞ্চে থাকা সকল যাত্রীদেরকে খাইয়েছেন। এসময় আজীবন ওই শিশুটির পুরো পরিবারের ভাড়া ফ্রি হওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়।

    আল ওয়ালিদ-৯ লঞ্চের ম্যানেজার নূর নবী জানান, লঞ্চটি কালীগঞ্জ ঘাটের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে সুরাইয়া খাতুনের প্রসব ব্যথা শুরু হয়। ঘটনাটি লঞ্চটির সুপারভাইজার মিজানুর রহমান শুনে দুইজন নারী যাত্রীর সহযোগিতায় তাকে লঞ্চের একটি কেবিনে নিয়ে যান। সেখানে তিনি একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। সুরাইয়া খাতুনের কালীগঞ্জ নামার কথা ছিল। কিন্তু আমরা তাকে কালীগঞ্জঘাটে নামিয়ে দেইনি। তাকে ভোলার ইলিশাঘাটে নিয়ে আসা হয়। এরপর ইলিশাঘাটে লঞ্চটি ঘাট করার পর একজন চিকিৎসক নিয়ে প্রসূতি ও সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশুটির দেখভাল করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লঞ্চটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে কালীগঞ্জ ঘাটে গিয়ে পৌঁছালে সেখানে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। ঘাটে সুরাইয়া খাতুনের শাশুড়ী ও ননদ মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

    এসময় তিনি আরও জানান, আল ওয়ালিদ-৯ লঞ্চে শিশুটি ভূমিষ্ট হওয়ায় লঞ্চের সকলেই খুব খুশি হয়েছেন। ওই লঞ্চে আজীবনের জন্য ওই শিশুর পুরো পরিবারের ভাড়া ফ্রি করে দেয়া হয়েছে।

    প্রকাশিত শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২