কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ, বান্ধবীসহ ৪ জনের আটকাদেশ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কলেজছাত্রীকে জিম্মি করে গণধর্ষণ ও এতে সহযোগিতার অভিযোগে বান্ধবীসহ চারজনকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।২০১৭ সালে ঘটা এ ঘটনার সময় অভিযুক্তরা শিশু আইনের আওতায় থাকায় তাদের শিশু আইনে বিচার করে আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।
তাদের সরকার নির্ধারিত সেফ হোমে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুক্তার হোসেন।অভিযুক্তরা হলেন- জেলার লালপুর উপজেলার দাংগাপাড়া গ্রামের মো. মহরম আলীর ছেলে মো. তুষার আলী, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শ্রীবতিপাড়া গ্রামের মো. ওবায়দুর রহমানের ছেলে মো. ইমন হোসেন ওরফে রকিবুল, নাটোরের লালপুর উপজেলার পুকুরপাড়া গ্রামের মো. আন্তাজ আলী ওরফে এন্তাজের মেয়ে মোছা. মেঘলা খাতুন ওরফে ছাফিয়া ও নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে তুষার ইমরান।
তারা সবাই বাগাতিপাড়া উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।আদালত সুত্রে জানা গেছে, প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে ২০১৭ সালের ২ জুলাই জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের তৎকালীন ছাত্র তুষার আলী তার অপর তিন বন্ধু ইমন হোসেন, মেঘলা খাতুন ও তুষার ইমরানকে নিয়ে একই কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে অপহরণ করে। পরে তারা ওই ছাত্রীকে অচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আর বান্ধবী মেঘলা খাতুন সেই ভিডিও ধারণ করে।এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা রাশিদা পারভিন বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট প্রদান করে। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্য প্রমান শেষে বিচারক আজ এ আদেশ দেন।নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রকাশিত বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রকাশিত বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২