• সর্বশেষ আপডেট

    রামপুরার বাসা থেকে তুলে নেওয়ার পেছনে শাকির বিন ওয়ালি নামে এক চিকিৎসক জড়িত

     

    হিজরতের উদ্দেশ্যে’ বাসা থেকে বের হওয়া কুমিল্লার নিখোঁজ সাত তরুণকে সিআইডি পরিচয়ে রামপুরার বাসা থেকে তুলে নেওয়ার পেছনে শাকির বিন ওয়ালি (২৮) নামে এক চিকিৎসক জড়িত। আর তার সঙ্গে আববারুল হক (১৮) নামে এক তরুণও রয়েছে। এই দুই জনই আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার মগবাজার থেকে আববারুল হককে (১৮) গ্রেফতার করা হয়। একই দিন রামপুরার হাজিপাড়া থেকে ডা. শাকির বিন ওয়ালিকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। সেদিনই জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রামপুরা থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ইন্সপেক্টর কাজী মিজানুর রহমান।কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বলছে, আবরারুল হক নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। কুমিল্লা থেকে তার বেশ কয়েকজন সহযোগী তথাকথিত জিহাদের লক্ষ্যে সম্প্রতি হিজরতের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছে। সেও হিজরতের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিভিন্ন স্থানে মিটিং ও পূর্ব হাজি পাড়ায় অবস্থান করে অনলাইনে উগ্রবাদী বক্তব্য ধর্মীয় অপব্যাখ্যা পিডিএফ সরবরাহ করে যুবকদের মোটিভেটেড করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সদস্য সংগ্রহ এবং তাদের সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতো। আবরারুলের তথ্যের ভিত্তিতেই ডা. শাকির বিন ওয়ালিকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সেও আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকজন যুবক তার বক্তব্যে উদ্ভূত হয়ে তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া তার বাবাও বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের বিষয়ে অর্থায়ন করেছে।কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, কুমিল্লা থেকে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া সাত তরুণের সঙ্গে ডা. শাকির বিন ওয়ালির যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। তার প্ররোচণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাত যুবক আনসার আল ইসলামের দলে যোগ দেয়। ডা. শাকির তার স্ত্রীকেও উগ্রবাদী কাজের সহায়তা এবং অর্থায়নে সহযোগিতা করে আসছিল। 
    প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২