• সর্বশেষ আপডেট

    ৩০ টাকা কেজিতে চাল পেয়ে মানুষের মুখে হাসি


    খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় (ওএমএস) সারা দেশে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম চলছে। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজিতে আটা বিক্রি করছেন ডিলাররা। কর্মসূচির আওতায় টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল কিনতে পারছেন। কম দামে চাল পেয়ে নিম্নআয়ের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।

    জানা গেছে, ৩০ টাকা কেজি দরে ১৫ দিন পরপর পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন নিম্নআয়ের মানুষজন। তবে যাদের টিসিবি কার্ড নেই তাদের এনআইডি কার্ডের বিপরীতে একই পরিমাণ চাল দেওয়া হবে।


    নওগাঁ


    বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় নওগাঁর মুক্তির মোড় এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। এ সময় চাল কিনতে আসা মানুষের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে।

    কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন খাদ‍্য মন্ত্রণালয়ের নিরাপদ খাদ‍্য কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান, জেলা খাদ‍্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর্জা ইমাম উদ্দিনসহ জেলা প্রশাসন ও খাদ‍্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ডিলাররা।

    জেলা খাদ‍্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির বলেন, ‘নওগাঁ পৌরসভায় ১৩টি, নজিপুর পৌরসভায় চারটি, ধামইরহাট পৌরসভায় তিনটি এবং অন‍্য আট উপজেলার ১৬টি পয়েন্টে ৩৬ জন ডিলারের মাধ‍্যমে প্রতিদিন ৭২ মেট্রিক টন চাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলার ৯৯টি ইউনিয়নে ২০৩টি কেন্দ্রে খাদ‍্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৮ জনকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে।’ 


    হিলিতে নিম্নআয়ের মানুষের সুবিধার জন্য ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু
    যশোর

    যশোরে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শহরের রেল রোডে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। 

    জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খোলা বাজার থেকে বেশি দামে চাল কিনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে যশোরে প্রতিদিন ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে যশোর পৌরসভার ১৪টি স্থানে প্রতিদিন ২২ মেট্রিক টন, মণিরামপুর, কেশবপুর, নওয়াপাড়া, বেনাপোল, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া ও চৌগাছা পৌরসভার ২৬টি স্থানে প্রতিদিন ৫০ মেট্রিক টন এবং শার্শা উপজেলার দুটি স্থানে চার মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করা হবে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এবার টিসিবির কার্ডধারীরাও চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। একজন একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।’ 

    তিনি বলেন, ‘ওএমএসের পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত ডিলারদের কাছ থেকে কার্ডধারী ১ লাখ পাঁচ হাজার ৬৫৫ জন ১৫ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারছেন। একজন কার্ডধারী মাসে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল পাবেন।’

    নেত্রকোনা

    নেত্রকোনার পাঁচ পৌরসভায় খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সকালে নেত্রকোনা মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে ওএমএস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক প্রশান্ত কুমার রায়, পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার। নেত্রকোনার পাঁচ পৌরসভায় ২৩ জন ডিলারের মাধ্যমে সপ্তাহে পাঁচ দিন আগামী তিন মাস ওএমএস কার্যক্রম চালু থাকবে।


    যশোরে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্যক্রম শুরু
    হিলি

    দিনাজপুরের হিলিতে নিম্নআয়ের মানুষের সুবিধার জন্য ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাজারের চেয়ে কম দামে চাল কিনতে পেরে খুশি নিম্নআয়ের মানুষজন।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা মোড়ে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোস্তাফিজুর রহমান, হিলি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা খলিলুর রহমান, ওএমএস ডিলার লিয়াকত আলি ও মাহমুদুল হাসান।

    চাল পাওয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনও চাল নেই। চাল কিনবো নাকি তরকারি কিনবো, তা নিয়ে বিপাকে ছিলাম। এ অবস্থায় সরকার আমাদের জন্য আজ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করেছে। এতে আমরা অনেক খুশি।

    হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে উপজেলার তিন স্থানে প্রতি দিন দুই হাজার কেজি করে চাল ৪০০ মানুষের মাঝে ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। টিসিবির কার্ডধারীসহ নিম্নআয়ের মানুষজন ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে মাসব্যাপী ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবেন।

    নাটোর

    নাটোরে ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ওএমএস ও টিসিবির ভোক্তাদের মাঝে খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের বনবেলঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. সাবিনা ইয়াসমিন।

    ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধে ও নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে চাল বিক্রি হয়েছে।

    ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি
    জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা ও সহায়তা করবে।

    জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন অর রশীদ বলেন, সপ্তাহে পাঁচ দিন ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতি ডিলার প্রতিদিন ৪০০ জনের কাছে পাঁচ কেজি করে চাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন। এর মধ্যে টিসিবির কার্ডধারীরাও চাল কিনতে পারবেন। প্রতিদিন জেলায় ১১ হাজার ৬০০ জন চাল নিতে পারবেন।

    পঞ্চগড়

    পঞ্চগড়ে ওএমএস, টিসিবি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষের মাঝে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় সরকারি স্টেডিয়ামের সামনে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

    জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ৮৮ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার পাঁচ উপজেলা ও তিনটি পৌরসভাসহ ৪৩টি ইউনিয়নে ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষের মাঝে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। 

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রমের আওতায় খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। 


    নাটোরে ২৯ জন ডিলারের মাধ্যমে শুরু হয়েছে
    চাল কিনতে আসা মো. সাত্তার মিয়া বলেন, সরকার এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছি। এখন ডিলারের কাছ থেকে চাল কিনে ভালোভাবে চলতে পারবো। আশা করি, এই কার্যক্রম সবসময় চালু থাকবে।

    জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মোস্তফা বলেন, জেলায় ৫২ জন ডিলার রয়েছেন। প্রতিদিন প্রতি পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবেন। জেলায় ১২ হাজার পরিবারের মাঝে প্রতিদিন চাল বিতরণ করা হবে। এতে অসচ্ছল পরিবারগুলোতে স্বস্তি ফিরে আসবে।

    দিনাজপুর

    বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন রোডে চাল বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি। ওএমএস ও টিসিবি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ কাজ করছে। যাতে প্রত্যেক মানুষ সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারে। সেজন্য ওএমএস ও টিসিবি কার্যক্রম সমন্বয় করা হয়েছে। ওএমএস কার্যক্রমে ৩০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি পাঁচ কেজি করে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি তিন কেজি আটা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া টিসিবির কার্ডধারীরা পাঁচ কেজি করে মাসে দুবার ১০ কেজি চাল নিতে পারবেন।

    রংপুর 

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রংপুরসহ জেলার ৪৪টি পয়েন্টে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টায় নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকার চাল বিক্রির উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। প্রতিজন ডিলারকে ২ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিম্নআয়ের মানুষজন। 


    নেত্রকোনার পাঁচ পৌরসভায় খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে
    জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, রংপুর নগরী ছাড়া আরও দুটি পৌরসভা ও উপজেলা সদরের ৪৪টি স্থানে সপ্তাহে পাঁচ দিন পাঁচ কেজি করে চাল বিক্রি করা হবে। 

    ময়মনসিংহ

    ময়মনসিংহেও শুরু হয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি। সিটি করপোরেশন ছাড়াও জেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে দুই লাখ ৯৮ হাজার ৪৮ জন উপকারভোগীর মাঝে ১৫ টাকা কেজি ধরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় চালের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে আটা। পাশাপাশি টিসিবি এবং ওএমএম ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬০ হাজার ব্যক্তিকে ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল ও ১৮ টাকা দরে পাঁচ কেজি আটা দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস। তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে বাজারে চাল-আটার দাম কমবে।

    নীলফামারী

    নীলফামারীতে শুরু হয়েছে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এতে প্রতিদিন সুবিধা পাবেন জেলার ১৫ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৩২ হাজার ৯১১ জন সুবিধা পাবেন।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা শহরের মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে একযোগে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।

    জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক বলেন, ওএমএস কর্মসূচির আওতায় জেলার ছয় উপজেলায় প্রতিদিন ১৫ হাজার ২০০ জন সুবিধাভোগী ১৯টি পয়েন্ট থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। জেলায় মোট ৪২ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১৯ জন করে ডিলার ১৯টি পয়েন্টে দুই মেট্রিক টন করে ৩৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করবেন। ওএমএস কার্যক্রম সপ্তাহে পাঁচ দিন ও মাসে সরকারি ছুটি ছাড়া ২২ দিন চলবে।

    অপরদিকে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জেলায় এক লাখ ৩২ হাজার ৯১১ জন সুবিধাভোগী ১৫ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। এজন্য জেলার ছয় উপজেলায় ২৬৭ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন টিসিবি কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তারা পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন।


    কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর
    জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, সুবিধাভোগীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন, সেজন্য উপজেলা প্রসাশনকে সবসময় কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    পিরোজপুর

    পিরোজপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় তিন পৌরসভা ও তিন উপজেলায় ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার সকালে শংকরপাশা ইউনিয়নের জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান। 

    জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা শেখ মশিয়ার রহমান বলেন, কর্মসূচির আওতায় ৩৫ হাজার ৮০৯ জন কার্ডধারী ১৫ টাকা কেজিতে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাবেন। এছাড়া টিসিবির কার্ডধারীরা ১৫ দিনে পাঁচ কেজি করে মাসে ১০ কেজি চাল কিনতে পারবেন।

    সাতক্ষীরা

    বৃহস্পতিবার থেকে সাতক্ষীরায় ওএমএমের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩১ জন উপকারভোগীর মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হবে।

    সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জেলার ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩১ জন উপকারভোগীকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। 

    ওএমএসের চাল নিতে আসা সাতক্ষীরা পৌরসভার রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শামিম হোসেন বলেন, ‘আমি দিনমজুর। আমার পক্ষে ৬০ টাকা দরে চাল কেনা কঠিন ব্যাপার। সরকারিভাবে ৩০ টাকা দরে চাল পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত। আমার দাবি, এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালু থাকুক। 

    প্রকাশিত বৃহস্পতিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২