• সর্বশেষ আপডেট

    শরিয়াহভিত্তিক লভ্যাংশের কথা বলে হাতিয়ে নেওয়া হয় কোটি টাকা

     

    বইয়ের প্রকাশনীতে বিনিয়োগে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক মুনাফা দেওয়ার কথা বলে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মো. এনামুল হক (২৮)। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর কদমতলী থেকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।

    গ্রেফতারকৃতের বরাত দিয়ে র‌্যাব বলছে, নিজেকে আলিম পাস দাবি করতো এনামুল হক। সে জানায়, ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে তার। যে কেউ তার কথায় আকৃষ্ট হতো। সেই সুযোগে বিনিয়োগে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করে আসছিল। অনেকে জমি বিক্রি, ফ্ল্যাট বন্ধক রেখে ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করেন। লভ্যাংশ না পেয়ে ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করলে এমনভাবে বোঝানো হতো–তারা টাকা ফেরতের জন্য আরও সময় দিতেন। একের পর এক সময় ক্ষেপণের ঘটনার পর বাধ্য হয়ে অনেকে আইনের আশ্রয় নেন।


    র‌্যাব বলছে, তার বইয়ের প্রকাশনী ছিল কদমতলীতে। শরিয়াহভিত্তিক লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় অনেকেই সেখানে বিনিয়োগ করেন। ওই টাকায় সে বিলাসবহুল জীবন যাপন করতো। প্রায় তিন বছর ধরে এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিল। করোনার সময় প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলেও প্রতারণা থাকেনি। এছাড়াও নানা ধরনের প্রতারণার সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব।


    র‌্যাব আরও জানায়, সে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিয়ে মুশকিল আসানের কথা বলেও মোবাইল ফোনে যোগাযোগের পরামর্শ দিতো। অনেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতো। মোবাইল ফোনে পরামর্শ দিয়ে একেক জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতো লক্ষাধিক টাকা। বিশেষ করে কোনও তরুণী যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনে ছবি পাঠাতে বলা হতো। ছবি না পাঠালে পরামর্শ দেওয়া হতো না। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে।

    র‌্যাব-৩-এর সহকারী পরিচালক খায়রুল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রেফতারের সময় সে তার নাম ছাড়া বাবা-মা ও ঠিকানা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিল। যাচাই-বাছাই করে নাম ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
    প্রকাশিত শনিবার ০৬ আগস্ট ২০২২