• সর্বশেষ আপডেট

    মামলার খরচ চালাতো ছিনতাই করে


    গাড়ি চুরির পর সেই গাড়ি দিয়েই চালাতো ছিনতাই ও মাদক সরবরাহের কাজ। ধরা পড়ে কয়েকবার জেলও খেটেছে। বেরিয়ে আবার একই কাজ করতো। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সেসব মামলার খরচ যোগাতো ছিনতাই করা টাকা দিয়ে। এমনই এক চোরাই গাড়ি ও ছিনতাই চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর ঢাকা জেলার কর্মকর্তারা।

    ১ জুলাই (শুক্রবার) মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তা ও চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মাদারীপুর জেলার শিলারচর গ্রামের মামুনুর রশিদ (৩৬) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)।

    গত ৪ জুন কেরানীগঞ্জের একটি ভাড়া-বাসা থেকে একটি নিশান প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো খ ১২-৯০১৩) চুরি হয়। এ ঘটনায় গাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।


    সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ১ জুলাই মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তা এবং চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আসামি মামুন ও মোজাম্মেলকে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ জুলাই ভোরে কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন মারিয়া ইপিজেড এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। আসামিরা বিভিন্ন টাওয়ার থেকে ব্যাটারি ও দোকানের তালা কেটে মালপত্র চুরির কথাও স্বীকার করেছে। সেইসঙ্গে চক্রের আরও সদস্যের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

    পিবিআই বলছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি ছিল। তাদের তথ্য দেওয়ার কাজে কয়েকজন মাছ বিক্রেতাও জড়িত ছিল। চক্রের আরও ছয়-সাত সদস্য রয়েছে। তাদের একজন লিডারও আছে। সে কাজ ভাগ করে দিতো এবং তথ্য দিতো। এই চক্রের সঙ্গে কয়েকটি গাড়ির ওয়ার্কশপের কর্মীও জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুজনের বরাত দিয়ে অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, রাতের সময়টাকেই এরা কাজের জন্য বেছে নিতো। একজন মাছ বিক্রেতা হিসেবে ফেরি করে মাছ বিক্রি করতো। সে এসে তথ্য দিতো। এদের গ্রুপ অন্তত ৫টা গাড়ি চুরি করেছে বলে জানা গেছে। ৫-৭টি মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারিও চুরি করেছে।

    পিবিআই ঢাকা জেলার এসআই সালেহ ইমরান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মামুন ও মোজাম্মেলের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। দুজন ফিল্ড পর্যায়ে কাজ করতো। চক্রের নেতা সম্পর্কেও তথ্য পেয়েছি। গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

    পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম  বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি-ছিনতাইয়ের মামলা আছে। সেগুলো নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

    প্রকাশিত: শনিবার ২ জুলাই ২০২২