• সর্বশেষ আপডেট

    ইউক্রেনে অগ্রগতির দাবি রাশিয়ার, আরও সেনা মোতায়েন


    রাশিয়া দাবি করেছে, পূর্ব ইউক্রেনে অবিরাম লড়াইয়ের পর বেশ কিছু ভূখণ্ড দখল করতে পেরেছে তাদের বাহিনী। মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পূর্বাঞ্চলের রণক্ষেত্রে রুশ বাহিনী আরও সেনা মোতায়েন করছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এখবর জানিয়েছে।

    রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শৌইগু বলেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী এখন লুহানস্ক অঞ্চলের ৯৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

    ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। শুরুতে রাজধানী কিয়েভ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলের পরিকল্পনায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করলেও একমাসের মাথায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন লক্ষ্য ঘোষণা করেন। পুতিন ঘোষণা দেন দনেস্ক ও লুহানস্ক এলাকার সমন্বয়ে গঠিত পুরো ডনবাস অঞ্চল দখল করাই তাদের প্রধান সামরিক লক্ষ্য। সাম্প্রতিক সময়ে অঞ্চলটিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে রুশ সেনাদের তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে।


    ডনবাস দখলের পর রাশিয়া অন্যত্র তাদের সামরিক অভিযানের বিস্তৃতি বাড়াবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার সতর্ক করে বলেছেন, রুশ ভূখণ্ডে পৌঁছাতে এমন দূরপাল্লার রকেট পশ্চিমারা ইউক্রেনকে সরবরাহ করলে মস্কো ইউক্রেনের গভীরে আক্রমণ চালাবে।

    যুদ্ধের শুরুতে রুশ সেনারা পুরো খেরসন ও দক্ষিণের জাপোরিজ্জিয়া শহরের একাংশ দখল করে। রুশ কর্মকর্তা ও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা অঞ্চলটির স্বাধীনতা বা রাশিয়ার একীভূত হওয়ার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

    কিন্তু অস্ত্রশক্তিতে ক্রেমলিন বাহিনী এগিয়ে থাকলেও ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ বাহিনী দৃঢ় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা পাল্টা আক্রমণ পরিচালনার সক্ষমতার প্রমাণও দিয়েছে।

    রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী সেভেরোদনেস্ক অঞ্চলের আবাসিক ভবনগুলো দখল করেছে এবং শিল্পাঞ্চলের আশেপাশের শহর ও শহরতলী দখলে লড়াই করছে।

    লুহানস্ক অঞ্চলে প্রশাসনিক কেন্দ্র সেভেরোদনেস্ক। সাম্প্রতিক রুশ আক্রমণের প্রধান মনোযোগে এটি পরিণত হয়েছে। সেভেরোদনেস্ক ও লিসিচানস্ক শহর দুটিতে রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই চলছে। এই দুটি শহরে রুশপন্থীরাও রাশিয়ার হয়ে লড়ছে।

    শৌইগু জানান, রুশ সেনারা পপাসনা শহরের দিকে তাদের আক্রমণ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে লিম্যান ও সভিয়াতোহির্স্ক ও অপর ১৫টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।

    পপাসনা শহরে যুদ্ধের আগে প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা ছিলেন এবং সেভেরোদনেস্ক থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এটির অবস্থান।

    শৌইগু জানান, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৮৯ জন ইউক্রেনীয় সেনাকে বন্দি করা হয়েছে। এরমধ্যে গত পাঁচ দিনে বন্দি করা হয়েছে ১২৬ জনকে।

    ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনে নতুন করে সেনা মোতায়েন করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রতিরোধ গুড়িয়ে দিতে তারা নতুন সেনা নিয়ে আসছে।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পডোলিয়াক জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যুদ্ধের গতি তাদের বিরুদ্ধে হওয়ার কারণে মন খারাপ না করার জন্য।

    প্রকাশিত: সোমবার ০৬ জুন ২০২২