• সর্বশেষ আপডেট

    মাদ্রাসায় ফেরার পথে ছাত্রকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা

     

    কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় মো. হাবিবুল্লাহ (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে গলাকেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩ জুন) রাত ১০টায় উপজেলা শহরের রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে। 

    বর্তমানে ওই ছাত্র ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।আহত হাবিবুল্লাহ চর রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালিয়ামারী ক্যাম্পপাড়া এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।

     সে রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী।স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে লজিং বাড়িতে খাবার খেয়ে মাদ্রাসায় ফিরছিল হাবিবুল্লাহ। মাদ্রাসার কাছাকাছি আসলে তাকে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকারে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

    অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আল আমিন, সিহাব ও বায়েজিদ জানা, রাতে হঠাৎ চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখে, নির্মাণাধীন ভবনের সামনে হাবিবুল্লাহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় হাবিবুল্লাহ তাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানায়।হাবিবুল্লাহর বরাত দিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্যান্ট-শার্ট প‌রি‌হিত তিন যুবক গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তা‌দের মু‌খে মাস্ক ছিল।

    রৌমারী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার হাফেজ মাওলানা ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী মে মাসে এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। এর আগে সে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাউনিয়ারচর সিলেটপাড়া মাদ্রাসায় পড়তো। শিক্ষার্থী হিসেবে আচার আচরণে সে ভালো। তার সাথে কেন এমন ঘটনা ঘটলো আর কে বা কারা এটা করলো তা ঠিক বুঝতে পারছি না।’
    রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গলা কাটা অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার গলার সামনে ও পেছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় শ্বাসনালী কেটে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ফোনে বিষয়টি অবগত করেছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ করছে। এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

    প্রকাশিত: শনিবার ০৪ জুন ২০২২