• সর্বশেষ আপডেট

    তারেক জিয়া ব্যবসায়ীদের ফোন করে পণ্য মজুতের নির্দেশ দিচ্ছেন

     

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে পণ্যের মূল্য নিয়ে কথা বলছেন। অপরদিকে, সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) ব্যবসায়ীদের ফোন করে পণ্য মজুত করো, দাম বাড়াও, দেশে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করো বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন।

     তাদের মতাদর্শী ব্যবসায়ীরাসহ অন্য ব্যবসায়ীরা এই বার্তা পেয়ে অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে।’শুক্রবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। স্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। ইউরোপে এক ইউরোর তেল চার ইউরোতে বিক্রি হচ্ছে। এক ইউরোর রুটি দুই ইউরোতে বিক্রি হচ্ছে। 

    সেখানে কোনও কোনও খাদ্যপণ্যের দাম দুই থেকে তিনশ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি।’তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত তাদের দোসরদের নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অছাত্র ও ছাত্রদের বাবারা সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানে তারা স্লোগান দিয়েছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই স্লোগানের মধ্য দিয়ে তারা দুটো জিনিস প্রমাণ ও স্বীকার করেছে। একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছে। 

    আরেকটি কথা বলেছে তারা, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে সমস্ত দলের সঙ্গে মিটিং করছে এসব দলের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নাই। অস্তিত্ববিহীন দলের সঙ্গে মিটিং করে তারা একটি সংবাদ পরিবেশন করছে মাত্র। অস্তিত্বহীন দলের সঙ্গে মিটিংয়ের মাধ্যমে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বটাই প্রকাশ পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা জানেন, দেশে নানা ধরনের পার্টি আছে। রাতের বেলা মানুষ গুম করে এমন একটা পার্টি, মরিচের গুঁড়া মারে সেটা একটা পার্টি, রাতের বেলা মলম মেখে দেয় সেটাও একটা পার্টি। সভাপতি থাকলে সেক্রেটারি নাই- সে ধরনের পার্টিও আছে। নানা ধরনের পার্টির সঙ্গে বিএনপি মিটিং করছে।’
    মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নাকি ডান-বাম সবার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম অতিডান ও অতিবাম সবার ঐক্য করেছিল। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা নির্বাচনও করেছিলেন। 

    ফলাফল বিএনপির ঘরে মাত্র পাঁচটি আসন। সুতরাং এবারও সর্বোচ্চ সংখ্যক দলের সঙ্গে মিটিং করেও গতবারের চেয়ে বেশি ভালো ফল হবে বলে জনগণ মনে করে না।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি দিলোয়ারা ইউসুফের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

    প্রকাশিত: শুক্রবার ০৩ জুন ২০২২