• সর্বশেষ আপডেট

    জলাবদ্ধতায় নিরসনের স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম সম্পন্ন হলে নগরবাসি ভোগান্তি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে।

     

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিগত
    দুইদশক ধরে চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা হয়ে আসছে, এই জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে
    প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দিলেও কাজগুলো এখনো পর্যন্ত সমাপ্ত না
    হওযায় জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে নগরবাসী পরিত্রাণ পাচ্ছে না। তিনি বলেন জলাবদ্ধতার
    কারণ সমুহ চিহ্নিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এই
    কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথে মহেশখাল সহ সব এলাকায় দ্রæত কার্যক্রম চালু
    করা হবে। জলাবদ্ধতার ভোগান্তি নিরসনে স্বল্পমেয়াদি যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে
    সেই কাজগুলো দ্রæততার সাথে সম্পন্ন করা হলে এই বর্ষা মৌসুমে নগরবাসি
    জলাবদ্ধতার চরম ভোগান্তি থেকে আপাতত: রেহাই পাবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে
    চসিকের বাটালী হিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের মেয়র দপ্তরে হালিশহর হাউজিং সোসাইটি
    সমাজ কল্যাণ সমিতি (এইচ বøকের) নেতৃবৃন্দ স্মারক লিপি প্রদান করতে এলে তিনি
    একথা বলেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী, প্রধান
    প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আবছার, সাধারণ
    সম্পাদক গোলাম জাকির ভূঁইয়া শামীম, খন্দকার বিল্লাল হোসেন, একেএম সাইফুদ্দিন
    খান, নাছির উদ্দিন আহমদ, মো. আলী হায়দার, মজিবুল হক, দেলোয়ার হোসেন, মো,
    মহসিন প্রমুখ।
    মেয়র আরো বলেন সম্প্রতি অতি বৃষ্টির কারণে জলজট এলাকায় আমি পরির্দশন করতে
    গিয়ে অবলোকন করছি মানুষের ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাপত্র, এমন কি ঘরের লেপ-তোষক
    পর্যন্ত খালে নালায় ফেলে পানি চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করেছে। আমরা নগরবাসিকে
    মাইকিং করে বার বার সচেতন করার পরও কেউ যদি সচেতন না হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে
    কঠিন বর্জ্য আইন প্রয়োগ করে জরিমানা আদায় ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। তিনি
    সরকারের মেগা প্রকল্পের বাইরে ২১টি খালের উন্নয়ন ও পুনরুদ্বারের কার্যক্রম হতে
    নিয়েছেন বলে জানান। মেয়র এইচ বøকের রাস্তা সংস্কার, শিশু পার্কের মাটি ভরাট করে
    উঁচু করণ, ১নং রোডের সংস্কার, আবর্জনায় ভর্তি নালা পরিস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের
    প্রতি নির্দেশনা দেন । তিনি জে বøক থেকে রড়পুল পর্যন্ত খালের বাঁধের কারণে পানি
    প্রবাহ যে প্রতিবন্ধকা সৃষ্টি হয়েছে তা অপসারণ করা হবে বলে নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্থ
    করেন। এছাড়া আবহানী খেলার মাঠটি সংস্কার করার ব্যাপারে মাঠ কর্তৃপক্ষের সাথে
    আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন।
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল কমির চৌধুরী হালিশহর হাউজিং
    সোসাইটি (এইচ বক্ল) নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে স্মারক লিপি গ্রহণ করছেন।
    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ৩০ জুন ২০২২