• সর্বশেষ আপডেট

    ‘আমরা বাজে মতলব নিয়ে আসিনি’

    মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে  ইভিএম সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এদিন বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা শুরু হয়। আমন্ত্রিত ১৩টি দলের মধ্যে ১০টি দলের প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন। এরমধ্যে ৪টি দল ইভিএমের পক্ষে মতামত দেয়।

    সিইসি বলেন, ‘ইভিএমে ইন্টারনেটের কোনও সম্পর্ক নেই বিধায় হ্যাকিংয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। যে সংশয়টা, আমি নিজেও কিন্তু গুজবে বিশ্বাসী। গুজব শুনতে খুব ভালো লেগেছে। আমার জীবনও ওভাবে কেটেছে। এখন যখন আমাকে নিয়ে কথা শুনি, সেগুলো কিন্তু সত্য না। অথচ আমি আগে এভাবেই গুজবে বিশ্বাস করতাম। আসলে মানুষের স্বভাবটাই হচ্ছে গুজবটা খুব শুনতে ভালো লাগে।’


    তিনি বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক চাপ আমাদের ওপর নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সেই সময় সরকার থাকবে, কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে না। সরকার আর আওয়ামী লীগ এক না। আমরা সরকারের কাছে হেল্প নেবো। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনও হেল্প নেবো না। প্রশ্নই আসে না। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি, সরকার এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজনটা আছে, সেই বিভাজনটা প্রধানমন্ত্রীকে আমি ‍উচ্চারণ করতে শুনেছি—উনি এ ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট, সরকারের তরফ থেকে আমাদের সহায়তা দেওয়া হবে।’

    সিইসি বলেন, ‘আমরা সেই সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। সেই সহায়তা আমরা আদায় করে নেবো। যেই সহায়তা আমরা প্রাপ্য সেই সহায়তা আমাদের দিতে হবে। সেই সহায়তা যদি দেওয়া না হয়, আপনারা যদি আশা করেন যে সুন্দর ইলেকশন হবে, সুন্দর ইলেকশন হয়তো হবে না। আরেকটা জিনিস হলো—আমরা আপনাদের মাঝে ঐক্য চাচ্ছি, নির্বাচন মাঠে সবাই থাকবেন এবং বিভিন্ন পার্টির উপস্থিতি কিন্তু এক ধরনের ভারসাম্য সৃষ্টি করে নির্বাচনের মাঠে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের বিষয় থাকে। যেহেতু আমরা একদিনেই নির্বাচন করবো, বা সবাই যদি চান চার দিনে ইলেকশন করার, কারণ আমরা একটা সংকট দেখি সেন্টারে। কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত ফোর্স দিতে পারছি না। সেই ফোর্সটা লাগতো না যদি সব দল নির্বাচনের কেন্দ্রে এসে দাঁড়াতো, তাহলে ওরাই ফোর্স হয়ে যেতো।’

    ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করবো স্যার, আপনারা সরকারে থেকে আমাদের সরকারি  সাহায্য সহায়তা দেবেন। আমরা যে সহায়তা চাইবো তা সাগ্রহে প্রদান করবেন। যাক আপনি বলেছেন (ওবায়দুল কাদের হ্যাঁ বলেন), এজন্য আমরা আশ্বস্তবোধ করছি। এই আশ্বাসটা নিয়ে আমরা আগামীতে কাজ করে যাবো। নির্বাচনের মাঠে এটা একটা সামগ্রিক বিষয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সামষ্টিক একটা বিষয়। কাজেই আমাদের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না। নির্বাচন কমিশন একাকী সফলতা অর্জন করতে পারবে না, যদি অংশীজনরা তাদের দিক থেকে সহায়তার অস্ত্র সম্প্রসারণ না করেন।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২