• সর্বশেষ আপডেট

    অপহরণের পর হত্যা, নদীর পাড়ে লাশ পুঁতে ফেলেছে তারা

     

    কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শালু মিয়া (৩৫) না‌মে এক ব্যক্তিকে অপহরণের তিন মাস ২০ দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

     বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকালে উপজেলার বাঘেরহাটের দক্ষিণ পাশের টেকানী গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।রৌমারী থানার ও‌সি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘ঠিক কার‌ণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও নি‌শ্চিত হওয়া যায়‌নি। তদন্ত চলছে।’গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে শালু মিয়াকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ ওঠে। 

    ২৯ এপ্রিল শালু মিয়াকে অপহরণের অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করে রৌমারী থানায় মামলা করেন শালুর স্ত্রী রেজেকা খাতুন।এ ঘটনায় ৩০ মে রাতে মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করে জাকির হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে রৌমারী থানায় এনে ৩১ মে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও একই ইউনিয়নের চর কাউয়ারচর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার শালু মিয়া একই ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের মৃত চাঁন মন্ডলের ছেলে।

    ঘটনার সূত্র ধরে বুধবার (১ জুন) ঢাকায় অভিযান চালিয়ে শালু মিয়া হত্যায় জড়িত খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের রৌমারীতে এনে বৃহস্পতিবার (২ জুন) শালু মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত খয়বর আলী (৩২) রৌমারী উপজেলার ঝগড়ার চরের ছলে হকের ছেলে এবং জিয়া (৫০) চর কাউয়ারচরের তালেবের ছেলে।শালু মিয়ার স্ত্রী রেজেকা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ব্যবসায়িক বিরোধ চলছিল। এরই সূত্র ধরে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য জাকির হোসেন আমার স্বামীকে ফোনে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় যেতে বলে। আমার স্বামী ফোন পেয়ে দ্রুত ওই স্থানে চলে যান। আমিও তার পেছনে পেছনে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি জাকির, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জন সেখানে অবস্থান করছে। তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।

     একপর্যায়ে স্বামীকে তারা তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে স্বামী নিখোঁজ। তখন স‌ন্দেহ হয়, স্বামী‌কে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করেছে তারা।’
    ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘৩০ মে মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য জাকির হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।  বুধবার ঢাকায় অভিযান চালিয়ে খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার করে রৌমারীতে আনা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বৃহস্প‌তিবার বিকা‌লে শালু মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ০২ জুন ২০২২