• সর্বশেষ আপডেট

    ১৯ দিনেও খোঁজ মেলেনি নাঈম খানের

     

    পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটিই আমাদের মাঝে নেই। এখন পর্যন্ত তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করতে পারছে না। প্রতিটি দিন মনে হচ্ছে একটা বছর পার করছি।’ মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদের দিন বিকালে  এমনই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন রাজধানীর মিরপুর থেকে অপহরণের শিকার নাঈম খানের স্ত্রী আছমা সুলতানা।পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন নাঈম খান। অপহৃত হওয়ার পর ১৯ দিনেও খোঁজ না মেলায় পরিবারটির ঈদ কেটেছে বিষাদে।অপহরণের ঘটনায় ১৬ এপ্রিল মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল জানা গেছে সেটার নম্বর প্লেটও ভুয়া।১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে মিরপুর বড়বাগ বসতি হাউজিংয়ের বাসা থেকে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন নাঈম। রাস্তায় একটি কালো মাইক্রোবাসে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে আর তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপহরণে জড়িত একটি কালো নোয়া মাইক্রোবাস চিহ্নিত করা হয়। পরে নম্বর প্লেটের নম্বরটি যাচাই করে দেখা যায় ওটা ভুয়া। তারপরও আমরা বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে খোঁজখবর নিচ্ছি।আছমা সুলতানা  আরও বলেন, ‘আমার স্বামী অপহরণের শিকার কী কারণে, কে করতে পারে এ বিষয়ে কোনও তথ্যই পাচ্ছি না।কারও সঙ্গে তার শত্রুতাও ছিল না। আমরা খুব হতাশায় আছি। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে শঙ্কায় আছি।’ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে নাঈম খান চাকরি করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।এ ঘটনায় নাঈম খানের পরিবার একটি আবেদন করেছে উল্লেখ করে র‌্যাব ৪-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরাও কাজ করছি। মাইক্রোবাসটির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩ মে ২০২২