• সর্বশেষ আপডেট

    বাগেরহাটে হিন্দু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, আটক ৭

     

    বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ‘ইসলাম ধর্ম’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক হিন্দু যুবকের (২৫) বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টায় উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আমরবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার, মোংলা ও মোরেলগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই যুবক তিন বছর আগে ভারতে চলে গিয়েছিলেন। দুই মাস আগে ইসলাম ধর্মকে কটূক্তি করে তিনি ফেসবুকে পোস্ট দেন।

     সাত দিন আগে এলাকায় ফিরে আসেন। এরপর স্থানীয়দের মধ্যে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এর জের ধরে তার শাস্তির দাবিতে সোমবার রাতে স্থানীয়রা মিছিল করেন। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতা ওই যুবকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়।

    নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিরাজুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে সোমবার ওই যুবকের বাড়িতে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে তার বাবাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যুবক অপরাধ স্বীকার করলে তার বাবা তাকে মারধর করেন। পরে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা চায় ওই যুবক। রাতে তারাবি নামাজের পর এলাকার লোকজন তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়।’ মোরেলগঞ্জ থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, ‘একটি বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়। আর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
     
    তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সন্দেহজনক সাত জনকে আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্তের পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল ২০২২