• সর্বশেষ আপডেট

    জায়গা দখল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

     


    গত ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার চট্টগ্রামের কিছু স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে কব্জির জোর দেখালেন আওয়ামী লীগ নেতা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকায় করে। 
     
    প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে বলা হয়, অভিযোগকারী ব্যক্তিদ্বয় যথাক্রমে চট্টগ্রাম নগরের ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ১নং যুগ্ম আহবায়ক এবং বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সরওয়ার মোরশেদ কচি, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদ খান রাজিব, আকবরশাহ থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি জমির উদ্দিন মাসুদ, স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল পারভেজকে নিয়ে অসত্য, বিকৃত, সব পক্ষের বক্তব্য ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত আক্রোশে মানহানি করানো, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে একটি পক্ষকে সহযোগিতা করার মানসে, চিহ্নিত ভূমিদুস্য ও তালিকাভুক্ত কিশোর সন্ত্রাসীদের গডফাদারের প্ররোচণায়, ভূমিদস্যুতায় সহযোগিতার মানসে এক পক্ষীয় কুরুচিকর এবং বানোয়াট তথ্য তুলে ধরায় তারা সামাজিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
     
    উল্লেখিত ব্যক্তিদের স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবাদপত্রে তারা উল্লেখ করেন, ‘প্রকৃত তথ্য হচ্ছে- গত ১৯/০১/২০২২ইং তারিখে সরওয়ার মোরশেদ কচি ও আব্দুল ওয়াজেদ খান রাজিব চট্টগ্রাম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২৭৭নং দলিলমূলে উত্তর পাহাড়তলী মৌজার বিএস ৫০০/৯নং খতিয়ানের অধীনে বিএস ১১৩নং দাগের আন্দরের ৮ শতক বা ৪ গন্ডা জমি ক্রয় করি।  

    তার আগেরদিন ১৮/০১/২০২২ইং তারিখে জায়গার নামজারীসূত্রে থাকা দখলদার মিসেস কোহিনূর বেগম ও তার ওয়ারিশেরা আমাদের ক্রয় করা উক্ত ৮ শতক বা ৪ গন্ডা জমিটি সরেজমিনে উপস্থিত থেকে বুঝিয়ে দেন।  রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের ১ মাস পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমাদের বুঝিয়ে দেয়া উক্ত জমিতে ঘেরাবেড়া দেই এবং জমিতে আমাদের স্বত্ত্ব সম্পর্কিত সাইনবোর্ড স্থাপন করি।

      উক্ত জমি নিয়ে আমাদের কিংবা সংবাদে উল্লেখিত ব্যক্তি নুরুল আশরাফের মধ্যে কোনো ঝামেলা বা বিরোধ নেই।  বরং স্থানীয় কাউন্সিলর ভূমিদস্যু ও কিশোর সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত জহুরুল আলম জসিম নুরুল আশরাফকে প্রাথমিকভাবে ভুল বুঝিয়ে থানায় একটি মৌখিক নালিশ করতে প্ররোচণা দেয় এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য অনেকগুলো মিথ্যা তথ্য তার পরিচিত সংবাদকর্মী ও সংবাদমাধ্যমগুলোকে সরবরাহ করে।  সংবাদ প্রকাশের আগেই নুরুল আশরাফ ও আমাদের নিয়ে আকবরশাহ থানা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কথা বলেছে।

    আমরা দুই পক্ষই একে-অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ছড়িয়ে দেয়া ভুল তথ্য মোকাবিলায় যৌথ সমঝোতা সম্পন্ন করি।  প্রকৃতপক্ষে রাতের আঁধারে কোনো ধরণের জমি দখল বা কারো জায়গায় সাইনবোর্ড টাঙানোর কোনো ঘটনাই ঘটেনি। 

     এমনকি যে কেয়ারটেকারকে নুরুল আশরাফের কেয়ারটেকার বলে তথ্য দেয়া হয়েছে তিনি আশরাফ নয়, আমাদের কাছে জমি হস্তান্তরকারী প্রকৃত ভূমিমালিক কোহিনূর বেগমের কেয়ারটেকার।  এমনকি সংবাদে সরওয়ার মোরশেদ কচি ও আব্দুল ওয়াজেদ খান রাজিব ১৯৮৬ সালে জমিটি কিনেছেন বলে যে তথ্য দেয়া হয়েছে সেটিও ভুল।  আমরা বলেছি- আমাদের কেনা ৮ শতক বা ৪ গন্ডা জমিটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা কোহিনুর বেগম ১৯৮৬ সাল থেকে উক্ত জমি কিনে নামজারি সম্পন্ন করে এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে মালিকানা ভোগদখল করে আসছেন।

    গত ১৯/০১/২০২২ইং তারিখে উক্ত জমিটি আমরা রেজিস্ট্রিমূলে বুঝে নিয়েছি।  সংবাদে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জও বলেছেন- নুরুল আশরাফ মৌখিক অভিযোগ করেছেন এবং আমরা উভয়পক্ষ মিলে সেটি নিয়ে যে ভুল বুঝাবুঝি তা সমাধান করবো।

     কিন্তু নিজের কেনা একটি চলাচলপথবিহীন জমির ভেলু বাড়াতে অবৈধ উপায়ে, মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে অন্যের জমি দখলে নিয়ে সড়ক বের করা কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম তার নিজের লোকদের দ্বারা তার অপরাধ ধামাচাপা দিতে গিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আশরাফ সাহেবকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করে অতিদ্রুততায় কাউন্সিলর জসিমের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার সুবাধে তিনটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন যাতে অতি আসন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনে নিজের ইচ্ছা প্রয়োগ করা যায় এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়।

    এ ধরণের একপক্ষীয় বক্তব্য এবং একটি অপরাধ চক্রের কাছ থেকে বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য সংগ্রহ করে পরিপূর্ণ একটি সত্যকে আড়াল করে তথ্য বিকৃতি ঘটিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে আইনী পদক্ষেপসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি’ বলে তারা প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করেন।

    প্রকাশিত: শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২