• সর্বশেষ আপডেট

    খাল, নালা ও ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে নগরবাসীদের সোচ্চার হতে হবে: ভারপ্রাপ্ত মেয়র

     


    দিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
    নগরীর বারইপাড়া বীর্জাখালের পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে যান 
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সবুর লিটন। পরিদর্শনকালে তিনি
    বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

     এই জলাবদ্ধতা থেকে পরিপূর্ণভাবে পরিত্রাণ পেতে হলে মেগাপ্রকল্পের বাইরে আরো ২১টি খাল খনন ও পরিস্কার করা প্রয়োজন। এ বিষয়টি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

    এই শুষ্ক মৌসুমে নগরীর ছোট বড় নালা থেকে জমে থাকা মাটি উত্তোলনের কাজ চলছে,
    বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এই কাজ শেষ করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা
    প্রদান করেন।

     অবৈধ দখলদার যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের কোন অবস্থাতে ছাড় দেয়া
    হবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। খাল, নালা ও ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে
    নগরবাসীদেরকে সোচ্চার হওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত মেয়র আহান জানান। এছাড়াও নগরীতে মশক
    নিধন কাজ ছয়টি জোনে বিভক্ত করে কাজ চালানো হচ্ছে। 

    এই কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং এই কাজে
    নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভারপ্রাপ্ত মেয়র
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর
    নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বারইপাড়া বীর্জাখালের পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
    অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন
    কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী।

    ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। বাংলাদেশকে বলা হচ্ছে
    উন্নয়নের রোল মডেল। এই সব সম্ভব হয়েছে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী
    শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ ও পৃষ্টপোষকতার কারণে।

     বাংলাদেশকে উন্নয়নের শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের
    উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এই কারণে কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ, বে-
    টার্মিনাল নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, মীরসরাইয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন
    স্থাপনসহ রেল ও সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছেন।

     এছাড়া নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ
    প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে বারইপাড়া খাল খনন কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো
    এই উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্থ করতে কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ খাল, নালা-নর্দমা দখল
    করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলছে যা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না।

    অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটগনকে সহায়তা প্রদান করেন।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২