• সর্বশেষ আপডেট

    ইউক্রেনের ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে নেয়ার আহ্বান পুতিনের

     


    ইউক্রেনের ক্ষমতা দেশটির সেনাবাহিনীকে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার রাতে রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের ক্ষমতা দেশটির সেনাবাহিনীকে দেয়া হলেই একটি সমঝোতায় আসা সম্ভব।জেলেনস্কি সরকারকে নব্য নাৎসি আখ্যা দিয়ে বৈঠকে পুতিন বলেন, সমঝোতার পর তাদের বিষয়ে ফয়সালা হবে। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেন সরকার চরমপন্থীদের কায়দায় জনগণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, নব্য নাৎজি বাহিনীকে তোমাদের সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে দিয়ো না। তোমরা ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নাও। 

    তবেই আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছুতে পারবো বলে নিশ্চিত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।এরআগে, যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। কিয়েভে রুশ সেনা প্রবেশের পর এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি। প্রতিরোধ যুদ্ধে সব নাগরিককে অস্ত্র তুলে নেয়ার আহ্বান জানায় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।

    রুশ হামলার মূল টার্গেট ইউক্রেনের রাজধানী, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সে শঙ্কাই সত্যি হল। শুক্রবার সকালে কিয়েভে ঢুকে পড়ে রাশিয়ান ট্যাঙ্ক। সড়কে দেখা যায় রুশ সেনাদের টহল। রুশ প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে জেলেনস্কি বলেন, আসুন আমরা আবার আলোচনায় বসি।

     ইউক্রেনজুড়ে লড়াই চলছে। সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে এখন আলোচনার বিকল্প নেই।
    ইউরোপীয় দেশগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, এই আগ্রাসন রোধে তাদের অনেক কিছু করার আছে। হামলা শুধু ইউক্রেন নয়, ইউরোপে হচ্ছে। ইউক্রেনের মানুষ মরছে না, যারা মরছে তারা ইউরোপেরও নাগরিক।

    এদিকে এই যুদ্ধাবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্রদের দায়ী করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সেরগেই লাভরভ। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি আবারো জানান, ইউক্রেন দখলের পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট পুতিনের নেই। দেশটিকে নিরস্ত্রীকরণেই এ অভিযান।

    তিনি আরো জানিয়েছেন, রাশিয়া বরাবরই আগ্রাসন বিরোধী। ইউক্রেন দখলের ইচ্ছা আমাদের নেই। দেশটির মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে সেজন্য নিরস্ত্রীকরণ প্রয়োজন। আর সে লক্ষ্যেই রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযান।

    রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগও এনেছে ইউক্রেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ২৪ ঘণ্টায় ৩৩টি বেসামরিক এলাকায় বোমা হামলা হয়েছে।

    তবে পাল্টা হামলায় ৮শ রুশ সেনা হতাহতের পাশাপাশি ৩০টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসের দাবি করছে ইউক্রেন। প্রতিরোধ যুদ্ধে সব নাগরিককে অস্ত্র তুলে নিতে বলছে সেনাবাহিনী। তবে এক্ষেত্রে তুলে নেয়া হয়েছে বয়সের বাধ্যবাধকতা।

    প্রকাশিত: শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২