• সর্বশেষ আপডেট

    নবজাতকের কপাল কাটলেন নার্স-আয়া

     


    প্রসব বেদনা নিয়ে ফরিদপুরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের রুপা বেগম। তবে, সন্তানের মুখ দেখা সুখকর হয়নি তার জন্য। প্রসবের সময় তার সন্তানের কপাল কেটে ফেলে নার্স ও আয়া।স্বজনেরা জানান, নার্স চায়না বেগম ও দু'জন আয়া চিকিৎসক ছাড়াই প্রসবের চেষ্টা করেন। এসময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলেন তারা। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দ্রুত নয়টি সেলাই দিয়ে রক্ত মুছে ফেলা হয়।স্বজনদের অভিযোগ পর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ও পুলিশ হাসপাতালে গেলে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে অভিযুক্ত নার্স চায়না বেগম, আয়া ও হাসপাতালের পরিচালককে আটক করে পুলিশ।রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মইজুদ্দিন মাতব্বরপাড়ার বাসিন্দা শাকিল খান জানান, ডেলিভারির সময় কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। চায়না বেগম দুজন আয়া নিয়ে ডেলিভারি করান। শিশুটির কপালের একটি অংশ কেটে রক্তাক্ত করে ফেলেন।আহত নবজাতকের ফুফু হোসনে আরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, 'আমরা বারবার বলার পরও কোনো চিকিৎসক ছাড়াই হাসপাতালের আয়া ও নার্স সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে শিশুটির কপাল কেটে ফেলে।' এ ধরনের ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।ফরিদপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুল আলম বলেন, 'এ জাতীয় ঘটনা কাম্য নয়। আমরা ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' তিনি আরো বলেন, 'দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা স্বাস্থ্য বিভাগকে বলেছি।'ফরিদপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা করিম বলেন, 'বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ ধরনের উদাসীনতা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা প্রসূতি মায়ের অস্ত্রোপচার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ডাটাবেইস তৈরি করছি। ব্যাপারে নজরদারি জোরদার করা হবে।

    প্রকাশিত: শনিবার  ১৫ জানুয়ারি ২০২২