• সর্বশেষ আপডেট

    ফলাফল মেনে নিয়ে যা বললেন তৈয়মুর।

     

     নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। নির্বাচনে ১৯২ কেন্দ্রে সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।

    রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে নাসিক নির্বাচনে সব কেন্দ্রের ফলাফলে পরাজয় হওয়ার খবরে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তৈমূর আলম খন্দকার।

    এ সময় তিনি বলেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ ও স্লো ছিল। অনেক লোক ভোট দিতে পারেনি। ইভিএমের কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, যারা নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন।

    তৈমূর বলেন, আপনারা দেখবেন, আমার লোকজন বাড়িতে থাকতে পারেনি। এটিএম কামালের মতো লোককে ঘেরাও করা হয়েছে গ্রেফতার করার জন্য। আমি ঘটনাগুলো আপনাদের জানিয়েছি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমার সমন্বয়ককে কাগজসহ গ্রেফতার করা হয়। তার মাধ্যমেই শুরু হয় এবং আমার লোকজন প্রতিদিনই গ্রেফতার হতে থাকে।

    তিনি বলেন, হেফাজতের মামলা দেওয়া হয়েছে সকলকে। এদের মধ্যে হিন্দু লোকও আছে। এখন দেখা যায়, মুসলমান তো করেই হিন্দুরাও হেফাজত করে। আজ সকাল থেকে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দরের সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় একটা মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে। তারপরও জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

    তিনি আরও বলেন, ঢাকার মেহমানদের অতিরঞ্জিত কথার পরে গ্রেফতার শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানককে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড তাদের জন্য ঝুকিপূর্ণ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমি থাকি, আমার ভাই তিনবারের কাউন্সিলর। আর ১২ নম্বর ওয়ার্ড সরকারি এমপির ওয়ার্ড। আমি বললাম, সরকারই যদি তার এমপির কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমার কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই।

    প্রকাশিত: রবিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২২