• সর্বশেষ আপডেট

    দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বাজার করতে এসে প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর

      

    আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে প্রাণ গেল এক কলেজশিক্ষার্থীর। পেছন থেকে ছুরি মেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

    ঘটনাটি ঘটেছে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার তারাবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

    নিহত কলেজশিক্ষার্থী নাসিম হোসেন (১৬) উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। তিনি হাজি জসিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। 

    পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে নাসিমের স্বজনদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকাএ ঘটনায় আরও কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি। 

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল হক টুটুলের সমর্থকেরা নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান খানের সমর্থকেরাও প্রচারণায় বের হন। তারারবাড়িয়া বাজারে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা। 

    পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। বাজার করতে আসা নাসিম মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিল। এ সময় পেছন থেকে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে।

    এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চরতারাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল হক টুটুল, সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


    প্রকাশিত: সোমবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২১