• সর্বশেষ আপডেট

    পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে চাকরি প্রার্থীরা- চখে মুখে হাহাকার!

      


    আজ সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা। এতে অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকায় যেতে ফজরের নামাজের পর বাস টার্মিনালে এসে অপেক্ষা করছি। আসার পর জানলাম, ধর্মঘটের কারণে কোনও বাস ঢাকায় ছেড়ে যাবে না। এখন পরীক্ষায় অংশ নেবো কীভাবে?'

    শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন সমন্বিত ৭ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক সোনিয়া আক্তার। 

    তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ তো আর পরীক্ষা বাতিল করে পরবর্তী দিন তারিখ নির্ধারণ করবে না। লেখাপড়া শেষ করে চাকরির জন্য একের পর এক পরীক্ষা দিচ্ছি। চাকরি তো সোনার হরিণ। সরকার আর পরিবহন মালিকদের খামখেয়ালির কারণে বেকারদের ভোগান্তিতে পড়তে হলো আজ।’

    জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ 

    শুধু সোনিয়া না, বাস টার্মিনালে অসংখ্য চাকরি প্রার্থী বাসের অপেক্ষা করছেন। এ ছাড়া রয়েছেন সাধারণ যাত্রীও। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘট চলায় সবার কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ। গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় সবাই।

    বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিকরা। আজ সকাল থেকে সারাদেশের মতো ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। 

    আরেক চাকরি প্রার্থী শামীমা আফরিন জানান, ‘শুক্রবার শুধু ব্যাংক না, খাদ্য ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরসহ বেশকিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পরীক্ষা আছে। ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় আমার মতো অনেকে বিপদে পড়েছেন। ঘোষণা দিয়ে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’

    চাকরি প্রার্থী কামরুল হাসান বলেন, ‘খাদ্য অধিদফতরে নিম্নমান সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকায় যাবো। কিন্তু টার্মিনালে এসে জানলাম, কোনও বাস ছেড়ে যাবে না। এখন কীভাবে ঢাকায় যাবো বুঝতে পারছি না।’

    অসংখ্য যাত্রী বাস টার্মিনালে এসে অপেক্ষা করছেন

    তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শুক্রবার সাধারণত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা হয়। বেকারদের কথা মাথায় রেখে ঘোষণা দিয়ে একদিন পর থেকে ধর্মঘট ডাকতে পারতো মালিকরা। ধর্মঘটের কারণে আজ অনেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এই ক্ষতি কীভাবে পোষাবে?’

    ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সুপারভাইজার শাহজাহান মিয়া জানান, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকেই ঢাকায় যাওয়ার জন্য যাত্রীরা টার্মিনালে এসে ভিড় করছেন। সাধারণ যাত্রীর তুলনায় চাকরি প্রার্থী যাত্রীর সংখ্যা বেশি। চাকরি প্রার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। কিন্তু মালিকদের নির্দেশেই তারা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন বলে জানান তিনি।

    প্রকাশিত: শুক্রবার  ০৫ নভেম্বর ২০২১