• সর্বশেষ আপডেট

    ১৮ কোটি টাকার টিকায়ও বাঁচলো না শিশুটি


    বিরল রোগে আক্রান্ত ১১ মাস বয়সী বেদিকা সৌরভকে প্রায় সোয়া ১৮ কোটি টাকার (১৬ কোটি রুপি) ইঞ্জেকশন দিয়েও বাঁচানো গেলো না।

    বেদিকা স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) রোগে ভোগছিল।


    প্রতি দশ হাজারে একজনের রোগটি হয়। ব্রিটেনে বছরে ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ আক্রান্তদের শরীরের সব পেশী ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যায়।
    বেদিকার যখন চার মাস বয়স তখন বাবা-মা’র নজরে আসে, মাথা ভেঙে আসে। সোজা হয়ে থাকতে চায় না। বাবা সৌরভ বলেন, হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা জানান বেদিকার স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রফি হয়েছে।

    চিকিৎসা হিসেবে একমাত্র উপায় হচ্ছে একটি ইঞ্জেকশন, যা আনতে হবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। মহারাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত বাবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে সহায়তার আবেদন জানায়। এগিয়ে আসে সরকারও।
    একদিকে, ট্যাক্স মওকুফ, অন্যদিকে অনেকে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিলে ওঠে আসে ১৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা)। অবশেষে মাস ছয় আগে বেদিকাকে দেওয়া হয় ‘জলজেন্সমা’ নামের ইঞ্জেকশনটি। এটি আমেরিকা, জাপান, জার্মানিতে পাওয়া যায়।

    সৌরভ ভারতের গণমাধ্যমকে বলেন, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছিল বেদিকা। কিন্তু গত ১ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে মহারাষ্ট্রের দিননাথ হাসপাতালে ভর্তির করা হলে সেখানেই থেমে যায় তার হৃদস্পন্দন।

    ভারতে এ পর্যন্ত রোগটিতে আক্রান্ত ১৭ শিশুকে টিকাটি দেওয়া হয়েছে। এদের অনেকেই সুস্থ হয়েছে। আর চার-পাঁচ বছর কেটে গেলে বেদিকাও পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতো বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ০৩ আগস্ট, ২০২১