• সর্বশেষ আপডেট

    একাধিক মামলার আসামী হয়েও, দখল করেন সরকারী খাস জমি, প্রকাশ্যে কাটেন পাহাড়।


    দিগন্ত নিউজ বিডিঃ নাম মহি উদ্দিন (প্রকাশঃ লাল মহিউদ্দিন) চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানাধীন শাপলা আবাসিক হারবাতলী ইমাম নগর এলাকায় কায়েম করেছেন ত্রাসের রাজত্ব্য, বিভিন্ন স্থানে  সরকারি পাহাড় দখল করে পাহাড় কেটে ছোট ছোট ঘর নির্মান করে স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করছে সে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে।

     এতেই খান্ত নন তিনি! ওই এলাকায় দখলবাজী, চাঁদাবাজী, অন্যের জায়গায় জোরপূর্বক দখল সহ যত অপকর্ম কাজ আছে কি না করে সে! আর এসকল অপরাধ নির্বিঘ্নে করতে গড়ে তুলেছে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং বাহিনী, এসব কিশোর গ্যাং বাহিনী দিয়ে পরিচালনা করা হয় তার সব অপকর্ম। বিশাল কিশোরগ্যাং বাহিনী দিয়ে সে রাতারাতি দখল করে নেয় সরকারী খাস জমি, পাহাড় কেটে করেন সাবাড়, এমনকি এলাকায় বসবাসকারী দুস্থ্য পরিবারের জমিও দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

    বিএনপির রাজনীতির সাথে সংক্রিয়ভাবে জড়িত মহিউদ্দিনের নামে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে করা নাশকতার মামলা, নগরীর কর্নেল হাটে মহাসড়কে করা বিএনপির নাশকতায় সরাসরি অংশ  নেয় সে, এতো মামলা থাকার পরেও কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান এলাকায়, কার ছায়াতলে থেকে করেন এমন অপকর্ম এমনটাই প্রশ্ন তোলেছেন ভুক্তভুগী অনেকেই।

    তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনা, যদি কেউ মুখ খুলে তাকে টাকার বিনিময় হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে বা কিশোর গ্যাং বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে করে দেন এলাকা ছাড়া।

    মহিউদ্দিনের কাছে বর্তমানে দখল রয়েছে একাধিক সরকারি জায়গায়, এমন পাহাড় খেকো, কিশোরগ্যাং লিডার, বিএনপির রাজনীতির সাথে সংক্রিয়ভাবে জড়িত, একাধিক মামলার আসামী প্রকাশ্যে অপকর্ম করে গেলেও প্রশাসন নির্বিকার, প্রশাসনের নিরবতায়, আরো ফুলেফেপে উঠছে মহিউদ্দিন এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহলের অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভূক্তভুগী বলেন একাধিক মামলা থাকা সত্বেও তাকে কেন গ্রেফতার করছেনা প্রশাসন আমাদের জানা নেই সে এলাকার ত্রাস, আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি যত দ্রুত সম্ভব তাকে আটক করে এই এলাকাকে দখলবাজ মুক্ত করবেন। 

    নগরীর আকবরশাহ্ থানা, সীতাকুণ্ড থানা সহ বিভিন্ন থানায় তার নামে রয়েছে, পাহাড়কাটা, জমি দখল, মহাসড়কে নাশকতা, প্রাণনাশের হুমকি সহ ১৫টির অধিক মামলা।

     বিভিন্য সূত্রে সংগ্রহ করা মামলা সমূহঃ 

    ১। মামলা নং-৭, তাং ০৩/১০/২০১৮ ইং ধারা ১৪৩/৩২৩/২২৬/৩০৭/৫০৬ (২) পেনাল কোর্টের এজাহারনামীয় অভিযুক্ত। 
    ২। মামলা নং-২১ তাং ১৪/১০/২০১৮ ইং ধারা ৪,১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, তৎসহ ১৫ (৩) ১৫৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, এজাহার নামীয় অভিযুক্ত। 
    ৩। মামলা নং - ১৯ তাং ১১/১০/২০১৮ ইং ৪,১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, তৎসহ ১৫ (৩) ১৫৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন এজাহার নামীয় অভযুক্ত।
    ৪। মামলা নং - ৫৭, তাং ২৭/০৯/২০১৮ ইং ধারা - ৪,১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন তৎসহ ১৫ (৩) ১৫৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, এজাহার নামীয় অভিযুক্ত। 
    ৫। মামলা নং - ২৫, তাং ০৭/০৯/২০১৮ ইং ধারা ৪,১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন তৎসহ ১৫ (৩) ১৫৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, এজাহার নামীয় অভিযুক্ত। 
    ৬। মামলা নং - ২৫, তাং ২৬/০৯/২০২০ ইং ধারা - ১৪৩/৩৪২/৩০৭/৩২৩/৩২৪/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোট এর এজাহার নামীয় অভিযুক্ত। 
    ৭। মামলা নং - ২৫ তাং ২১/০১/২০২১ ইং ধারা ৪/৫ আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধনী আইন /২০১৯ এর এজাহার নামীয় অভিযুক্ত। 
    ৮। মামলা নং - ২/১৩৯ তাং ০৫/০৬/২০২১ ইং ১২ (১) ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইন কতৃপক্ষের বৈধ অনুমোদন ব্যতিরেখে পাহাড় কাটিয়া ঘর নির্মাণ করার অপরাধ। 
    ৯। মামলা নং ০২/০২/২০১৫ ইং বিশেষ ক্ষমতা আইন ৫ (৩) এর ধারা। 
    ১০। সীতাকুণ্ড থানার মামলা নং - ৩৮০/২০২০ ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৮০/ ৪২৭/৩৪ ধারা অপরাধ। 
    ১১। চট্টগ্রাম কোর্টের মামলা। সি আর মামলা নং - ১১৯/২০২০ ইং ধারা ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/ ৩৭৯/৩৮০/৩৮৫/৩৯২/৪২৭/৫০৬/৩৪ দণ্ডবিধি।
    ১২। মামলা নং - ৫৪/১৯ প্রাণনাশের হুমকি।
    ১৩। আকবরশাহ্ থানায় জিডি নং - ২৫/১১/২০২০ ইং ১৩৩২। 

    তবে খোজ নিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার আটক হয়েছিল সে তবে অসাধু কিছু রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকায় ও আইনের ফাকফোকর দিয়ে অল্প কিছু দিন জেল খাটার পর জেল থেকে বের হয়ে আবার জড়িয়ে পড়ে এসব অপকর্মে।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ০১ জুলাই, ২০২১