• সর্বশেষ আপডেট

    তিন বছরেও শেষ হয়নি সাংবাদিক কন্য রাইফার মৃত্যুর তদন্ত।


    দায়িত্বরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবেহলায় শিশু রাইফার মৃত্যুর অভিযোগ এনে পরিবারের করা মামলার তদন্ত ৩ বছরেও শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।

    এক বিবৃতিতে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম অবিলম্বে মামলার তদন্ত শেষ করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।


    বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, শুরুতে চকবাজার থানা মামলাটির তদন্ত করলেও এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করছে। তদন্তকারী সংস্থা বদল হলেও মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি, যা খুবই দুঃখজনক। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ তদন্তকারী সংস্থা ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারাবে।

    এদিকে, ২ বছর বয়সী রাইফার মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জনের গঠিত দু’টি কমিটির প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতালটির কিছু চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি উঠে আসলেও সে অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন সাংবাদিক নেতারা।

    তারা বলেন, ব্যক্তির দোষের কারণে যাতে কোনো মহান পেশা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি না হয় তা নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কোনো পেশায় প্রতিটি মহৎ মানুষের ত্যাগকে যেমন সম্মান জানাতে হবে, তেমনি কারও গাফিলতি থাকলে তার শাস্তি যদি না হয় সমাজে অনিয়ম বেড়ে যাবে।

    গলা ব্যথা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল রাইফাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জুন মধ্যরাতে মারা যায় শিশু রাইফা। মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর ২ দফা ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে রাইফার। এ অভিযোগে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান। মামলায় হাসপাতালে কর্তব্যরত শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায় চৌধুরী, চিকিৎসক দেবাশীষ সেন, শুভ্র দেব এবং ম্যাক্স হাসাপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী খানকে আসামি করা হয়েছিল।


    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৯ জুন, ২০২১