• সর্বশেষ আপডেট

    সাংবাদিকদের ‘চাপের মুখে’ সাভার থানায় আলোচনার কথা জানালেন পরী


    সাভারের বোট ক্লাবে এসে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়ার ঘটনায় করা মামলার বিষয় পুলিশকে জানাতে সাভার মডেল থানায় এসেছিলেন আলোচিত ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি।

    রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর থানা থেকে বের হয়ে পরীমনি প্রথমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। পরে সাংবাদিকদের চাপের মুখে তিনি কথা বলতে রাজি হন।

    সাভার মডেল থানা থেকে বেরিয়ে প্রথমদিকে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যেতে চান পরীমণি।  কিন্তু পরে অনেকটা চাপের মুখে পড়েই গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।

    এসময় পরীমনি বলেন, ‘আমি মামলার অগ্রগতি জানতে এসেছি। আমার আসলে আগেই আসার কথা ছিল। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসতে পারিনি। যেহেতু শাটডাউন হয়ে যাবে, তাই চিন্তা করে আজকেই এসেছি।’

    ন্যায়বিচার নিয়ে কতটুকু আশাবাদী এমন প্রশ্নে পরীমনি বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী। সবাই আমাকে এতবেশি সাপোর্ট দিচ্ছেন, এতে আমি খুবই প্লিজড।’

    চার ঘণ্টা থানায় কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘ওখানে (বোট ক্লাবে) যা যা হয়েছিল, ওগুলো আমাকে বলতে হয়েছে। তারা (তদন্ত কর্মকর্তা) ও সব আগে শোনেনি। তাদের ঘটনা শোনা উচিত। এ জন্যই দেরি হয়েছে।’

    এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সাদা প্রাইভেটকারে সাভার মডেল থানায় আসেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।পরে তিনি ঢাকা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহিল কাফীর কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপরই থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বাধা দেওয়া হয় সাংবাদিকদের প্রবেশেও।

    থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় এবং মূল ফটক আটকে দিয়ে সাংবাদিক প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

    থানায় পরীমনির আগমন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ঢাকা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, ‌‌‘এখন আমাদের মিটিং আছে। পরবর্তীতে সবকিছু বলা হবে।’

    সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘পরীমনি আজ নিজে থেকে থানায় এসেছেন। আমাদের থানায় নাসির-অমির বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন কি না, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।’

    প্রসঙ্গত, ঢাকা বোট ক্লাবে গত ৯ জুন রাতে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন (নাসির ইউ) মাহমুদসহ কয়েকজনের দ্বারা ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।

    ১৪ জুন ঢাকার সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন পরীমনি। এতে নাসির ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার পরপরই রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে নাসির ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    প্রকাশিত: রবিবার ২৭ জুন, ২০২১