• সর্বশেষ আপডেট

    এই কাজের মাধ্যমে করোনা থেকে বাঁচবে আপনার পরিবার


    বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। প্রতিদিনই এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কেউ কেউ এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন আবার অনেকেই এ ভাইরাসের কাছে হেরে গিয়ে চিরবিদায় নিচ্ছেন।

    যারা এ ভাইরাসকে মোকাবিলা করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন শুধুমাত্র তারাই জানেন কতটা কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। কিন্তু করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি সুস্থ হওয়ার পরও তার থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকে থাকে। তাই জেনে নিন কিভাবে আপনি ও আপনার পরিবারকে করোনাভাইরাসের কবল রক্ষা করবেন-

    বিছানার চাদর

    কোয়ারেন্টাইন শেষে বিছানার চাদর, বালিশের কাভার অবশ্যই পাল্টাতে হবে। পুরনো জিনিসগুলো ভাল করে পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার। ঘরে যদি কোনো টেবিল কাভার বা ল্যাপটপ কাভার থাকে সেগুলোও ধুয়ে ফেলতে হবে।

    স্যানিটাইজেশন

    করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার পর পুরো ঘর স্যানিটাইজ করে নেওয়া ভালো। ঘর পরিষ্কার করার সময় হাতে গ্লাভস এবং মুখে মাস্ক পরতে হবে। পরিষ্কার হয়ে গেলে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। ঘরের ফ্লোর ভাল কোনো ফ্লোর ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। দেয়ালে স্যানিটাইজিং স্প্রে লাগাতে পারেন। বিছানার কোণে, জানলা, ড্রেসিং টেবিল, আয়না, সাইড টেবিলের মতো যাবতীয় আসবাব সাবান জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে নিতে হবে।

    ব্যবহৃত জিনিস

    করোনাকালীন যেসব জিনিস আপনি সব সময় ব্যবহার করেছেন সেগুলো পরিষ্কার করা। যেমন- ওষুধের বাক্স, পালস অক্সিমিটার, থার্মোমিটার বা অন্য যেকোনো জিনিস যেটা রোগী হাত দিয়েছেন, সেগুলো ভাল করে স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন।

    বাথরুম

    করোনা আক্রান্তের সময়ে রোগী যে বাথরুম ব্যবহার করবে সেটি ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। এ ছাড়া বাথরুমের মগ, বালতি, বেসিন, কমোড, ফ্লাশ, কল, শাওয়ারসহ বাথরুমের প্রত্যেকটা জিনিসই আলাদা করে সাবান পানি দিয়ে মুছে নেওয়া বা স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন।

    ব্যক্তিগত জিনিস

    করোনাভাইরাস শরীরের বাইরে বা কোনো জিনিসের উপর খুব বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না। তবে জিনিসটা কী দিয়ে তৈরি, তার উপর নির্ভর করবে ভাইরাস কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। স্টিলে যতক্ষণ থাকবে, প্লাস্টিকে তার চেয়ে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে এই ভাইরাস। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ভাইরাস বায়ুর দ্বারাও সংক্রমিত হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা আরও বেশি সাবধান হতে বলছেন।

    করোনা আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত টুথব্রাশ অন্যদের সঙ্গে এক স্ট্র্যান্ডে না রাখাই ভাল। তার চেয়ে পাল্টে ফেলা জরুরি। ফেস ক্রিমের মতো যে প্রসাধনী করোনাকালে ব্যবহার করেছেন সেগুলোও ফেলে দেওয়াই ভালো। 

    করোনা আক্রান্তের সময়ে ব্যবহৃত পোশাক ভাল করে কেচে ফেলা উচিত। রোগীর পোশাক, বিছানার চাদর, রুমাল, গামছা এগুলো আলাদা করে ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে পরিষ্কার করা ভালো।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ০৩ জুন, ২০২১