• সর্বশেষ আপডেট

    আগুনে পুড়ছে ফিলিস্তিনিদের ঈদ আনন্দ


    যখন পবিত্র ঈদের আনন্দ মুসলিমদের ঘরে ঘরে, তখন ফিলিস্তিনিরা উপহার পাচ্ছেন স্বজনের লাশ। সেই লাশকে সামনে নিয়ে তাদের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। ইসরাইলের বিমান হামলায় রক্তস্রোত বয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের।

    ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আজ বুধবার ভোরে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে গাজায় ১৩ শিশুসহ কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। ভোরে গাজার ওপর বৃষ্টির মতো শত শত বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।

    উত্তেজনা বাড়লে সড়কগুলো অধিকাংশই খালি হয়ে যায়, লোক চলাচল নেই। দোকানপাট বন্ধ, লোকজন ঘরে অবস্থান করছেন। ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে ঘরেও তারা নিরাপদ থাকতে পারছেন না।

    হামাস মুখপাত্র ফাওয়াজ বারহুম বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নাগরিকদের ওপর জায়নবাদীদের আগ্রাসন বন্ধ না হবে, ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা, বিশেষ করে হামাস প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। দখলদার বাহিনী গাজা, জেরুজালেম ও আল-আকসাকে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।-খবর আরব নিউজের

    গাজার বিভিন্ন স্থাপনা, বাড়ি ও কৃষি এলাকায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া হামাস ও ইসলামী জিহাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতেও আঘাত হানছে বোমা।

    ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা সামরিক অভিযানের মধ্যবর্তী অবস্থায় রয়েছি। হামাস ও ইসলামী জিহাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
     
    এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস বলেছে, আগ্রাসন প্রতিরোধে আমাদের মুজাহিদেরা অবস্থান করছিল এমন জায়গায় শত্রু বিমান আঘাত হেনেছে, এতে আমরা শহীদ হয়েছি, আমাদের লোকজন নিখোঁজ হয়েছেন।

    দীর্ঘ লড়াইয়ে গাজাজুড়ে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ স্বজন হারিয়েছেন, কারও বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। আল-সাথি শরণার্থী শিবিরের তিবা ভবনের ষষ্ঠতলায় থাকেন রাশেদর আল-সাঈদ।

    তিনি বলেন, বোমার আঘাতে বাড়ির ছাদ ভেঙে তার পরিবারের ওপর পড়েছে। তারা যখন সেহরি খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তখন এই হামলা করা হয়েছে।

    বর্তমানে আলশিফা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ৫৭ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি বলেন, এটা ছিল এক কঠিন রাত। যখন আমরা ঘুমাতে যাই, তখন আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়, বাড়ি ছাদ আমাদের ওপর ভেঙে পড়ে।

    প্রকাশিত: বুধবার ১২ মে, ২০২১