পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিপূরনের চেক দ্রুত পাওয়ারদাবীতে বিক্ষোভ
এস.এম.দেলোয়ার হোসাইন শিবচর (মাদারীপুর) মাদারীপুর শিবচরে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিপূরনের চেকদ্রুত পাওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। পরে শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)এম রাকিবুলহাসানের সমাধানের আশ্বাসে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের আশ্বাসদিলে ক্ষতিগ্রস্থরা বিক্ষোভ সমাপ্ত করেন।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের জন্য উপজেলার মাদবর চরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের জমি অধিগ্রহন করেছে রেল মন্ত্রনালয়। রেল সংযোগের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে।
তবে বিভিন্ন অযুহাতে এ প্রকল্পেক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরনের চেক এখনো প্রদান করেনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। গত ৪ মার্চ বিকেলে প্রথম ধাপে শিবচর উপজেলা পরিষদের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ৩৩ জন ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে অধিগ্রহনকৃত জমি, ঘরবাড়ি ও গাছপালার প্রায় ১০ কোটি টাকারচেক বিতরণ করেন।
তবে চেক দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত সেই চেকের টাকার ছাড়পত্র দেয়নি জেলা প্রশাসক। শুক্রবার (১২ মার্চ) উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের শিকদারকান্দি এলাকার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয় ক্ষতিগ্রস্থরা। এসময় ক্ষতিগ্রস্থরা ৭ কার্য দিবসের মধ্যে সকল ধরনের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা,সংশোধনীর নামে কোন প্রকার বিল কর্তন, না-দাবি/পাওয়ার নামা তদন্তের সাপেক্ষে কার্যকর করা, হাতে পাওয়া ৮ ধারা মোতাবেক ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা, প্র্রদানকৃত সকল চেকের এডভাইস প্রদান করা,হয়রানি মুক্ত সেবা প্রদান করা, যৌথ তদন্ত সাপেক্ষে প্র্রদান করা ৮ ধারায় গ্রহণযোগ্য করাসহ ৭ টি দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
প্রায় ২ ঘন্টা পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এম. রাকিবুলহাসান ঘটনাস্থলে পৌছালে ক্ষতিগ্রস্থরা তার কাছে ৭ দফা দাবী তুলেধরেন। রাকিবুল হাসান বলেন,পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সাত দফার দাবিনামা পেয়েছি। জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি।
রেল সংযোগকাজ চলমান রয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, রেলসংযোগ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরের কেউই ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবে না।তবে যাদের চেক প্রদান করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতেই কাগজ পত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
বেশ কিছু বিলে অস্বাভাবিক টাকার পরিমান দেখা গেছে। কাগজপত্র সঠিক হলে চেকের টাকা ছাড় দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে এলাকার বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির সাথে কথা হয়েছে।চলতি মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণের ন্যায্য টাকা পেয়ে যাবে।কিন্তু কোনভাবে ন্যায্যমূল্যের অধিক টাকা কেউ পাবে না এ ব্যাপারেআমরা কঠোর অবস্থানে আছি।
প্রকাশিত: শুক্রবার ১২ মার্চ, ২০২১