• সর্বশেষ আপডেট

    দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি

    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বশেমুরবিপ্রবি সংসদের

    খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন

    জয়নাল আবেদীন জিহান (বশেমুরবিপ্রবি, গোপালগঞ্জ): সম্প্রতি বেতন-ফি কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনে জড়িত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনাকে প্রতিহিংসা এবং দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বশেমুরবিপ্রবি সংসদ। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব উল্লেখ  করা হয়। 

    উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি না মেনে বানোয়াট অভিযোগে উল্টো তাদেরকে বহিষ্কার করার মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে হুমকি প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নিপীড়নসহ একাধিক অভিযোগ থাকার পরও রাষ্ট্র যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি এই দুঃসাহস দেখানোর শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছেন।” তারা আরো বলেন, পাঠ্য বই এবং ক্লাসরুমে আবদ্ধ না থেকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শামিল হওয়াও একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন জানানো শিক্ষকদের বরখাস্ত করার পাঁয়তারা এই মুহূর্তে বন্ধ না করলে, তার চড়া মূল্য দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

    জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি সংক্রান্ত স্মারকলিপি উপাচার্যের কাছে পেশ করা হয়। তাতেও কোনো সমাধান না পেয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলাকালে ওই দুই অধ্যাপকের পথ আটকানোর ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের দাবি, পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে তাদেরকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল বেতন কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও ছাত্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১