• সর্বশেষ আপডেট

    ফেলানী হত্যা দিবস

    ফেলানী হত্যা দিবস

    শতাব্দীর নৃশংস হত্যা কান্ড বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় ০৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন (জন্ম:১৯৯৬ সাল) নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে।

    নাগেশ্বরীর কিশোরী ফেলানী হত্যার ১০ বছরপূর্তি আজ বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২১,  আজও কাঙ্ক্ষিত বিচার পায়নি পরিবার ও দেশ।

    বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। বিএসএফ নিজস্ব আদালতে এ ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল।

    বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে সীমান্তের কাঁটাতারের আটকে থাকা ফালানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে উঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাটাতারে ঝুলে থাকার ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রহসনের বিচার করা হয়।

    ফেলানী হত্যা দিবসে ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী কনভেশনে বক্তব্য রাখছেন ভিপি নুরঃ

    সীমান্ত হত্যা বন্ধ করে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে, গোলামির ভিত্তিতে নয়।


    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২১