• সর্বশেষ আপডেট

    নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন: চলছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা

    নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন
    মোঃ ইব্রাহিম, নোয়াখালীঃ- আগামী ১৬ জানুয়ারি নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো এ অঞ্চলে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক কৌতূহল দেখা দিয়েছে।নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই জোটের মেয়র প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে একজন, ভোটের মাঠে অনান্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১১৫ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১০ হাজার ৪৯৪ জন, পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৬২১ জন ।

    সম্প্রতি সময় ব্যাপক আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বসুরহাট পৌরসভা। বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, কাউন্সিলর পদে ২৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন সহ মোট ৩৫ জন প্রার্থী যার যার অবস্থান থেকে দিনরাত চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা।

    জমজমাট প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। পুরো নির্বাচনী এলাকা ছেঁয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুন। চলছে মাইকিং, মিটিং-মিছিল, পথসভা। ভোটারদের ধারে ধারে ছুটছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।ভোটাররা জানান, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে ভোট দিবেন যোগ্য প্রার্থীকে। তবে প্রথমবারের মতো এ পৌরসভায় ভোট ইভিএম পদ্ধতিতে হওয়ার কারণে ভোটারদের মাঝে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা।

    এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ জানায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বর্তমান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বারবার পৌরসভার মেয়র থাকায় সাধারণ নাগরিকের জীবনমান ও নিরাপত্তা কাজ করায় এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তাকে পুনরায় মেয়র করা প্রয়োজন।স্থানীয় বিএনপির দাবি, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রয়েছে। ব্যানার পোস্টার সবকিছুই লাগানো হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠ হলে বিজয়ী হবেন তারা।

    অন্যদিকে, সাধারণ ভোটাররা মনে করেন, সৎ, যোগ্য, কর্মঠ ও পৌরসভার উন্নয়নে যে প্রার্থী কাজ করবে এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিবে তারা সে প্রার্থীকে ভোট দিবেন। প্রথমবারের মতো এ অঞ্চলে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে, তারা বলছে এতে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন হবে।

    সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের পচন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রয়েছে বলে জানান কামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির মেয়র প্রার্থী।

    নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সবরকম প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে সহকারী রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইয়েদ মো. আনোয়ার খালেদ তিনি আরো জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু ইভিএম একটি নতুন পদ্ধতি, সে লক্ষ্যে আমরা ভোটাদের মাঝে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। ভোটাদের এ বিষয়ে ভোটিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে প্রতিটি কেন্দ্রে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা প্রস্তুত আছি।


    প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১