• সর্বশেষ আপডেট

    নিজ সন্তানকে খুন করে গুমের নাটক, মা-বাবার


    দিগন্ত ডেস্কঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালীতে দিনদুপুরে মা-বাবার পাশ থেকে চুরি হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর ১৫ দি‌নের নবজাতক সোহানের মর‌দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭ ন‌ভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে হাওয়ালখালী এলাকায় নিজেদের বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকের ভেতর থেকে নবজাতকটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন ও মা ফাতেমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    পুলিশ জানায়, দু’বছর ধরে নানির বাড়িতে থাকা ফাতেমার কলারোয়া উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সোহাগ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে কিছুদিন থাকার পর পারিবারিক কলহের কারণে আবারও স্বামীকে নিয়ে তাকে আশ্রয় নিতে হয় নানির বাড়িতে। গত ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা শহরের আনোয়ারা ক্লিনিকে জন্ম নেয় তাদের একটি ছেলে সন্তান। শিশুটির নাম রাখা হয় সোহান হোসেন।

    এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। গত ২৫ নভেম্বর তারা সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেভাজন শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট ও নিউমোনিয়া, হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। এ সব কারণে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনের যোগসাজশে শিশু হত্যা করেছে এবং গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

    তিনি আরও জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে মরদেহটি ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগিতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শুক্রবার মধ্যরাতে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


    প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২০